পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রঙ্গমতী।

বিধৃমিত মেঘপুঞ্জে? দেখিল কি যুবা
ওই ক্ষুদ্র মেঘখণ্ড, পশ্চিম কোণায়,—
কৃষ্ণবর্ণ? কৃষ্ণতিল, আহা মরি যেন,
প্রকৃতি-ললাটে ! তাহা নহে। যুবকের
চঞ্চল মানস, চিন্তারথে আরোহিয়া,
অতিক্রমি দৃষ্টিচক্র, গিয়াছে কোথায়,—
কোন্ কাল্পনিক দৃশ্য দেখিতেছে ওই,—
কে বলিবে? কি দেখিবে নয়ন দর্পণে
আকাশের প্রতিবিম্ব, দর্শক বিহনে !
 এইরূপে ধ্যানে যুবা বসি কিছুক্ষণ,
প্রবেশিল পুনৰ্বার কবিতা-কাননে,
যুড়াইতে চিন্তাজ্বালা। কুসুমে কুসুমে,
করি ভাব-মধুপান যুড়াল মানস।
যুড়াল নয়ন দেখি মেঘদূত অঙ্গে
কল্পনা-বিজলি-খেলা, ইন্দ্রধনু-শোভা।
একে সংস্কৃত ভাষা। তাহাতে গায়ক
নবরত্ন-শিরোর কবি কালিদাস।
ভাষার ঝঙ্কারে, ভাব-সমুদ্র-তরঙ্গে
ভেসে গেল যুবকের বিমুগ্ধ মানস।
নন্দন কাননে যেন, শুনিতে লাগিল
ত্রিদিব সঙ্গীত যুবা নিশার স্বপনে!