পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সর্গ। অসিধারে, বিধুমিত সঘন নিশ্বাসে। বারিতেছে রক্তধারা উভয়ের অঙ্গে জীবন প্রবাহ যেতেছে বহিয়া। মহাযােদ্ধা পতি পার্শ্বব প্রহারে যুবকের বাম করে করিল আঘাত, খসিয়া পড়িল চৰ্ম্ম, ছাড়িল হুঙ্কার দ্য বীর। দধ্বনি না হইতে শেষ, বিদ্যুত গতিতে দৃঢ় মুষ্টিতে তাহার লাগিল যে বজ্রাঘাত, উড়িল কৃপণ, ঘোর যন্ত্রণায় দ ছাড়িয়া চীৎকার, লক্ষ দিয়া লৌহ ভুজে ধরিয়া বীরেন্দ্র, প্রস্তুত বীরবর–ফেলিল ভূতলে । রক্তস্রাবে ক্লান্ত দেহে মূচ্ছার সঞ্চার মুহূর্তৃেক হল, সেই গুরু নিপত’নে । জানু পাতি বেঞ্জামিন বীরেন্দ্রের বুকে বসি দৃঢ়াসমে, অট্ট হাসিল ভীষণ । নিষ্কোষিয়া তীক্ষ্ম চুরী কটিবন্ধ হতে, বলিল হাসিয়া—“খৃষ্টদ্বেষী দুরাচার অন্তিম সময়ে সুর খৃষ্টনাম, পাবি পরিত্রাণ পরলােকে ; অন্তিমে বারেক সরু সেই কুসুমিকা চারু চন্দ্রানন।”