পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী। আর্য্য-সুতে কভু নাহি সম্বােধিও রণে। অস্ত্রাঘাতে যেই শিক্ষা লিখিনু হৃদয়ে রাখিও স্মরণ। যদি জীবনের সাধ থাকে তব, রাজ্যলিপ্সা করি সম্বরণ, স্বদেশ-নরকে তব পালাও সত্বর, ছাড়ি এই পুণ্য ভূমি। নতুবা নিশ্চয় সমুচিত প্রায়শ্চিত্ত ঘটিবে অচিরে।” যুদ্ধান্তে অনতিদূরে পৰ্বত গহ্বরে, বীরেন্দ্র বসিয়া কাঞ্চী প্রপাতের কাছে শিলাসনে ; শত হস্ত উৰ্দ্ধ হতে, কাঞ্চ। স্রোতস্বতী মহাদৃশ্য !-নামিতেছে ভীম। ভৈরব গর্জনে। বহুদূর অবিশ্রান্ত জীমূত-গর্জনে বিঘােষিত, বিলােড়িত শত মহার্ণব যেন মহাপ্রভঞ্জনে। বিস্তৃত সলিল ধারা শােভিতেছে যেন বিশাল স্ফটিক স্তম্ভ ভাস্কর কিরণে। প্রপাতের প্রতিঘাতে সফেণ সলিলে খেলিতেছে গিরি মূলে অসংখ্য ফোয়ারা, বহু উর্ধে উৎক্ষেপিয়া শ্বেত পুষ্পরাশি, গিরিমূলে যেন শত পুষ্প-প্রস্রবণ উঠিছে, ফুঠিছে ফুল, পড়িছে, মিশিছে।