পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
রঙ্গমতী।
8

  একবার ——এইবার,
  এল নাৈকা——বঁধুয়ার।
আনন্দের ধ্বনি শেষে ধ্বনি উচ্চৈঃস্বরে,
দৃঢ়তর করে দাড় ফেলাইয়া বেগে
প্রভূত সলিল তলে, সশক্তি টানিয়া
পৃষ্ঠে করি ভর, দাঁড়িগণ নীরবিল
অকস্মাৎ। তীরবেগে ছুটিল তরণী
সেই টানে, তর তরে কাঁদিল তটিনী
ভীমাঘাতে; প্রতিধ্বনি জাগিল চৌদিকে !
 কিন্তু তরীবাতায়নে যুবকের কাণে
পশিল না এই ধ্বনি। ভঙ্গিল না তার
চিন্তার লহরী,—চিন্তামুগ্ধ যুবা ! ওই
ঘনকৃষ্ণ মেঘখণ্ড পশ্চিম গগনে,
যুবক দেখিতেছিলা বাড়িছে কেমনে
তিল, তিল; ক্রমে উর্দ্ধে উঠিছে ব্যাপিয়া,-
ভীমকায় যেন এক ভীষণ রাক্ষস,
তুলিছে বিশাল শির কানন হইতে !
যুবক দেখিতেছিলা, শ্বেত মেঘচয়া——
মুহূর্ত্তেক পূর্ব্বে যাহা প্রভাকর-করে
শ্বেত পুষ্পপুঞ্জ সম, স্থানে স্থানে ওই