পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৮ রঙ্গমতী । রােগীর আরােগ্য লাভে, বিপন্ন উদ্ধারে। দয়াময়ী, কাদম্বিনীরূপে বরিষেণ সুখ, শান্তি, ধন, জন, পার্বত্য অঞ্চলে, অজস্র ধারায় । যার যে কামনা, পূর্ণ করেন কামদা, মাতা সৰ্বার্থ-সাধিনী । সলিল-সন্ধুতা দেবী, অযযানি-সম্ভবা। একদা মুকুট রায় নিশীথ-স্বপনে শুনিল। ত্রিদিব বাদ্য, দেখিলা সম্মুখে পূণ্যবান্, দশভুজা জীবন্ত প্রতিমা। মানব নয়নে কভু দেখে নাই যাহা, দেখিলা; শুনিল। কর্ণে মৃগেন্দ্র গজ্জন, শিবের বিষাণ, মহা প্রলয় নির্দোষ। মৃচ্ছন্তে মুকুট রায় দেখিলা বিস্ময়ে শত শত শারদীয় চন্দ্রের চন্দ্রিকা ছড়াইছে জননীর বদন চন্দ্রিমা , দেবারাধ্য, শরাচিন্ত্য। সেই চন্দ্রালােকে হাসি’ মহিমার হাসি, সুপ্রসন্নমুখী— করিয়া জ্যোৎস্নালোকে জ্যোৎস্না সঞ্চার, কহিলা---“মুকুট রায়! কাঞ্চীর গরভে, গিরি- জিহ্বা-অগ্রভাগে, পাইবে আমারে প্রভাতে।” মিশিল মূর্তি স্বচ্ছ জ্যোৎস্নায় ;