পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৪ রঙ্গমতী। বসিয়া মনের সুখে গাথি ফুলহার সাজাইতে পরস্পরে; পুজি অম্বিকারে, ভাসাইয়া রক্ত জবা, টগর, কাঞ্চন, স্থলপদ্ম, কৃষ্ণচূড়া, নিঝরি জলে। মধ্যাহ্নে কাঞ্চীর কূলে শীতল ছায়ায়, সাদরে অঙ্কেতে রাখি নিদ্রিত নাথের মুদিত বদন-পদ্ম, নিরখি সে শােভা, অতৃপ্ত, অশ্রান্ত নেত্রে, প্রেম-মুগ্ধ মনে। সায়াহ্নে শেখরে বসি, গলায় গলায়, প্রাণেশের অংসােপরে রাখিয়া বদন, দূর গিরি অন্তরালে, নিরখি কেমনে অস্ত যান রবি, রঞ্জি চারু নীলাম্বর, তরল সুবর্ণে, রঞ্জি পর্বত শেখর। ভগবতি এ স্বপ্ন কি ফলিবে আমার ? “কি করিব ধনে ? বন রাজ্য-প্রকৃতির অনন্ত ভাণ্ডার। দেখ কত রত্নরাশি ফলিতেছে, ফুটিতেছে, ঝরিতেছে বনে ; বহিছে নিঝর শ্রোত, ঢালিছে প্রপাত অজস্র ধারায়। শুন ওই ক্ষুদ্র শ্যামা, বকুলের ডালে ডালে নাচিয়া নাচিয়া, দিতেছে মধুরে, মরি, কি সুখের তান