পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী। না দেখি উপায়ান্তর ভাবি কিছুক্ষণ, আসিনু প্রাচীন পত্র করিয়া অর্পণ। যােগিনী অচল নেত্রে প্রাঙ্গণের পানে নীরবে রহিল চাহি, যেন চিন্তাস্রোতে। রমণী জীবন মন গিয়াছে ভাসিয়া। নিঃশব্দ চরণে বিপ্র হইল অন্তর, নীরবে প্রণমি সেই নীরব যােগিনী। চিন্তা অন্তে তপস্বিনী ফিরায়ে বদন চমকিলা—একি মূর্তি, প্রতিমূর্তি যেন? স্থির বিস্ফারিত নেত্রে, উন্নত গ্রীবায় চেয়ে আছে কুসুমিকা-অনিশ্বাস নাশা দেবীর চরণ-প্রান্তে রক্ত-জবা পানে ! ‘বর্ষাঘাতে বীরেন্দ্রের ভুতলে পতন’-- করি কর্ণে বজ্রনাদ, তড়িতের মত পশিয়া অন্তুরান্তরে, করিল বায় অচেতন, যেন স্বর্ণ প্রতিমার মত। দেখিলা যুবতী, সেই ক্ষুদ্র রক্ত-জবা, দেখিতে দেখিতে ক্রমে প্রসারিয়া দল, লােহিত সমরক্ষেত্রে হলাে পরিণত। দেখিলা ভীষণ রণ, রণ-বিভীষিকা শত শত নৈশ রণে ; শুনিলা শ্রবণে