পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সর্গ । « কামান গর্জন ; সেই অস্ত্র ঝনৎকার। দেখিলা বিস্ময়ে, সেই মহারণস্থলে বীরেন্দ্র বিদীর্ণ-বুক রহেছে পড়িয়া অনির্বাণ উল্কা যেন, অ-শিখ অনল,- অচল দর্পণনেত্রে কুসুমিকা পানে চাহিয়া কাতর-দৃষ্টি। মূচ্ছগতা বালা টলিয়া পড়িতেছিলা, ধরিলা যােগিনী প্রসারিয়া ভুজদ্বয়। কহিলা কাতরে; কেন বাছা কেন এত হইলে অধীরা? নিশ্চয় বীরেন্দ্র মম পেয়েছে লিখন ; এ মুহূর্তে আগমন নহে অসম্ভব । যাও, বৎসে, যাও গৃহে, ওই সন্ধ্যা দেবী আসিছেন শান্তিছায়া লইয়া কাননে, বর্ষিবেন শান্তি তব কোমল শয্যায়।” এত বলি তপস্বিনী চুম্বিয়া বদন বিদাইলা দুঃখিনীরে। নীরবে যুবতী চলিলা যন্ত্রের মত, দেখিতে দেখিতে বিশাল নয়নে সেই রণ-প্রতিকৃতি গগাধুলী-আকাশ-পটে। মুক্ত কেশরাশি ঝুলিছে অসাবধানে অঞ্চলের সনে, খেলিয়া খেলিয়া, চারু সন্ধ্যার তিমিরে,