পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যই সর্গ। নতুবা নিশ্চয় হ'ত জীবন সংশয়। দুই দিন মাত্র আজি পেয়েছ চেতন, নিযেধিনু কত, তবু উন্মত্তের মত চলিলে এ দীর্ঘ পথ। কঁদিছেন বৃদ্ধ পিতা তব, নাহি দিলে জানাতে ভঁহারে। পিতৃ-স্নেহ, রাজ্য-আশা, দুর্লভ জীবন, সকল সংসার, নাহি বুবিনু কেমনে, একটি বালিকা তরে দিলে বিসর্জন। ললাটের ঘৰ্ম্মবিন্দু এখনাে ললাটে রহিয়াছে, তিল মাত্র না করি বিশ্রাম, এই দীর্ঘ পথ বল চলিবে কেমনে? আত্ম-হারা যেন যুবা বলিলা অস্ফুটে, মৃদু কণ্ঠে—“ উন্মত্ততা!—বালিকার তরে?” কলিন্দীর পানে চাহি রহিলা নীরবে। চাহিয়া চাহিয়া রুবা বলিল—“শঙ্কর ! আমার জীবন যদি মানব জীবন, না জানি স্রষ্টার ইহা সৃজিয়া কি ফল। কি ফল অপিয়া তৃণ সমুদ্রের স্রোতে ; নিক্ষেপিয়া শুষ্ক পত্র, প্রভঞ্জন আগে । আশৈশব মাতৃহীন, মায়ের আদর মায়ের মধুর নাম, কল্পনা তঁাহার,