পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যই সর্গ। ছুটিলা কানন পথে, —আত্মহারা গতি! উভয়ে নীরবে চলি গেলে বহুদূর বলিলা বীরেন্দ্র ধীরে—“শঙ্কর, যখন আছিলা সুন্দরবনে, দেখিলা কি কভু কানন কালীর সেই পবিত্র মন্দির ? মন্দিরবাসিনী এক বৃদ্ধা তপস্বিনী?” “বলেছি কেমনে সেই নদীর সৈকতে, বহুদুরে মৃতপ্রায় পাইয়া আমারে, বাঁচাইল বহু যত্নে কাঠুরিয়া এক । বৃদ্ধের অবাসে আমি ছিলাম যখন, সুন্দরবনের কত বিচিত্র কাহিনী শুনিয়াছি তার মুখে। শুনিয়াছিলাম কানন কালীর কত কীৰ্ত্তি অনুপম। কিছু দিন থাকি সেই কালীর মন্দিরে, শুনিলাম যবে, তুমি আসিয়াছি দেশে,--- মনে না মানিল আর-আকুল পরাণ দেখিতে তােমার মুখ, আসিলাম আমি । শুনিলাম ত্রিপুরায় রণের বারতা। আসিলাম ঊর্ধ্বশ্বাসে ; ভাবিলাম মনে, পিতার শিবিরে তব পাব দরশন। আসিতে আসিতে পথে শুনিনু সভয়ে