পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যই সর্গ। পারে ভাসাইতে এই বিশ্বচরাচর। “অন্তর-বিগ্রহ কালে পৃঞ্চ আর শত, পঞ্চোত্তর শত ভাই আমিলে পরে’-- এই মহা ঋষি-বাক্য, ইতিহাস-গত, বুঝিবে কি এত দিনে ভারত সন্তান ? ওই শুন, ওই শুন নীলাচল শিরে, বাজিছে সমর ভেরী, এই মহামন্ত্র পঞ্চশত বর্ষ পরে করি বিজ্ঞাপন। অন্তর-বিদ্বেষ ভুলি সেই ভেরী-নাদে আবার কি রাজস্থান উঠিবে নাচিয়া, ফানীর পাঞ্চজন্যে পাণ্ডব যেমতি ? তুলিবে কি প্রতিধ্বনি পঞ্চনদ তীরে, গুরু নানকের বীর শিষ্য সম্প্রদায় ? চরণে দলিত বঙ্গ-নৃপতি নিচয় আবার তুলিবে শির সে ভেরী ঝঙ্কারে ? সমগ্র ভারতবর্ষ আসমুদ্র গিরি, ‘জয় মা ভবানি!' বলি উঠিবে গর্জিয়া ? উল্লাসে উড়িছে ওই নীলাচল শিরে রতন ত্রিশূল বক্ষ রক্তিম কেতন বীরবর শিবজীর। ত্রিশূল বিভায় মোগলের অর্ধচন্দ্র পাংশুল মলিন