পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪। বুমতী। শুনিলা যে দিন ধামা, সেই দিন হতে, যােগিনীর বেশে সদ্য ভমিত কাননে নির্জনে, পরিতা অঙ্গে পুষ্প-অভরণ কখনো, কি ভাবি মনে। সেই বনলতা এখনাে রয়েছে অঙ্গে--বিশুদ্ধ, মলিন। কষ্টের স্বপন-ছায়া যেন পুস্পাননে পড়েছে বামার, যুবা রহেছে চাহিয়া, জীবন-সৰ্বস্ব যেন সেই মুখ খানি । গভীর নিশীথ ; কক্ষ নীরব এখন। থেমেছে রোদন-ধ্বনি। যতেক রমণী নেত্ৰ-জল, কণ্ঠ-ধ্বনি, গিয়াছে ভুলিয়া যুবার জীবন্ত শােক করি দরশন। “কুসুম!”—নির্জন কক্ষে কার কণ্ঠ ধ্বনি ? নহে কণ্ঠ বীরেন্দ্রের, নহে যুবকের, নহে প্রণয়ীর, কণ্ঠ নহে মানবের, চমকিল সবে। যুবা বলিল,-“কুসুম। জীবনের এত আশা, এত ভালবাসা, ফুরাল কি এইরূপে ? এইরূপে হায় ! বনে উঠি, বনে ফুটি, বরিল কি বনে ?” আর না,-একটী, এই একটী উচ্ছাস। ক্ষত বক্ষ হতে বেগে ছুটিয়া শােণিত