পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী। 3:9 কেমনে দেখিব পথ ? এই দুঃখিনীর ধন আহা—যাত্রাকাল যেতেছে বহিয়া ; তােরে লইলাম কেড়ে। দুঃখিনীরে হায়, পূরিলাম শিবিকায় ধরা ধরি করি । ‘বাছারে ! বাছারে !'—করি কাঁদি উচ্চৈঃস্বরে, চলিল জননী তাের মা মা বলি তুই ঘোর আর্তনাদ করি’ কঁদিতে লাগিলি । যথা ধৃত বিহঙ্গিনী নিষাদ পিঞ্জরে, কাদিতে কঁদিতে যায় ; মাতৃ হাহাকার শুনি, দূরে কাদে বৃক্ষ-কোটরে শাবক ; কাদিল জননী তোর ! কঁদিলি আপনি? সেই দিন হতে তোরে, কত যত্নে, কত কষ্টে পালিয়া ছ আমি, দেশ দেশান্তরে, দেখিতে কি এই দশা এ বৃদ্ধ বয়সে ? অভাগিনী মাতা তাের ফিরিল না ঘরে, বুকের বাছনি আর, লইল না বুকে!”— ভীষণ তরঙ্গ এক, ঠেলিয়া সম্মুখে অর্ধ স্রোতস্বতী বারি !–চঞ্চল পৰ্বত- খণ্ড আসিতেছে যেন!—আঘাতি তরণী, অষ্টধা বিদারি কাষ্ঠ, তুলিয়া আকাশে, নিক্ষেপি’ পাতালে পুনঃ, চলিল হুঙ্কারি।