পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎসর্গ । দেখিয়া কাব্যের অবশিষ্টাংশ লিখিব। কিন্তু কতিপয় বন্ধুর কল্যাণে—ঠাহাদের ছায়া অক্ষয় রহু ক—আমার সেই আশা পূর্ণ হইল না। শিক্ষিতাভিমানী বাঙ্গালী চরিত্রের সেই - ঘূর্ণি চিত্র, যাহা আমি চরণে দলিত করিয়াছি, তাহা আপনার সমক্ষে উপস্থিত করিব না। নীচতার এবং বিশ্বাস হকতার ঘুর্ণ চক্রে পড়িয়া ঘোরতর বিপদগ্রস্ত, ততোধিক পীড়িত, হইয়া কলিকাতা যাই। যখন শিরােপর মেঘ- বজ্র মন্দ্রে ঝটিকা গর্জিতেছিল, তপন রােগশয্যায় রঙ্গমীর চতুর্থ 'সর্গ লিখিত হইল। সেই ঝটিকায় পুরুসামের সমুদ্র-সৈকতে নিক্ষিপ্ত হইলাম ; জীবনের এক মাত্র সুখ, এক মাত্র স্নেহ, এক মাত্র অশ, অনখ কনিষ্ঠু শিশু ভ্রাতাড়ী ভাসিমা গেল; রঙ্গমতীর পঞ্চম সর্গ সেই সমুদ্র-সৈকত, সেই ভ্রাতৃ-শ্মশানে লিখিত হইল। অদৃষ্টের অন তরঙ্গ এই ভয়াবহ। পদ্মার তীরে বিক্ষিপ্ত ইমাম ; এক মাত্র শিশু পুত্রটী অঙ্ক শূন্য করিয়া দিয়া পড়া; রঙ্গমতার শেষ সৰ্গ লিখিত হন। এরূপ জীবন কাবো উপােেগ ইতে পারে, কিন্তু কচুর কবির উপযোগী বলি পার । অতএব বসুমতীর প্রতিভা সাধ; চিত্র যদি মনোহারী না হইয়া থাকে, সে দোষ ত্রিতে ই, যে দোষ চিত্র- করে, সে দোষ তাহার অদৃষ্টের। ইহার প্ৰে সৰ্গে, প্রত্যেক পৃষ্ঠায়, প্রত্যেক অক্ষরে, আমার বিপদের সুতি, রােগের যন্ত্রণা, বিষাদের দুঃ, এবং শােকের অ শড়িত রহিয়াছে। রঙ্গমতী আমার জীবনের একটা বিষাদপূর্ণ অঙ্কের ইতিহাস। যাহা হউব. আপনি সহানুভূতি প্রকাশ করিয়া ইহাকে গ্রহণ করা, এই বাদ রশির মধে। আমার একটা সুখস্মৃতি থাকিবে। মাদারিপুর ১লা শ্রাবণ ১২, ৭ শ । নবান।