পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সর্গ। 89 << “দেখিতে কি ছিলে তুমি কোন কুস্বপন? ‘কুস্বপ্ন ” বলিলা যুবা; নামিল নয়ন। ললাটের স্বেদবিন্দু মুছি ধীরে ধীরে ; মুছিয়া নয়ন দ্বয়, বলিলা যুবক- কুস্বপ্ন-কুস্বপ্ন দেবি ! দেখিতেছিলাম অসুখ নিদ্রায় আমি। দেখিতেছিলাম। এক মহা পিরবার, অনাদি, অনন্ত, ফেণীল-তরঙ্গ-পূর্ণ, ভীম প্রভঞ্জন গজিছে ঝটিকানাদে, জলধি হৃদয়ে ; গৰ্জ্জুিছে জীমূত মন্দ্র, ঘোর কৃষ্ণাম্বরে ! ঘােরতর অন্ধকার! ভগবতি, সেই ঘাের অন্ধকারে, সেই ভৌতিক বিপ্লবে, দেখিলাম হায়। সেই কৃষ্ণ পারাবারে তরঙ্গে তরঙ্গে ডুবি, ভাসিতেছে মম কুসুমিকা, আললাকিয়া সেই অন্ধকার ; ভাসে যথা নীলাম্বরে শারদ চন্দ্রিমা লুকাইয়া মেঘে মেঘে ভাসিয়া আবার। কোথা হতে এই দৃশ্য দেখিতেছিলাম হয় স্মরণ ; হায়! উম্মত্তের মত ঝাপ দিতে চাহিলাম সমুদ্রের জলে, তুলিতে সে রূপরত্ন ;-অকস্মাৎ হায় ?