পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী। ৫৭ প্রশস্ত উপলখণ্ডে অতীব প্রাচীন এক বট বৃক্ষ তলে। বসিয়াছি সুখে শিখরের প্রান্তভাগে ; সম্মুখে অামার গিরিবর ভীম অঙ্গ অর্ধ চন্দ্রাকারে দিয়াছে ঢালিয়া যেন নীল কাঞ্চীজলে । পশ্চাতে মায়ের শ্বেত প্রস্তর মন্দির । মন্দিরের দুই পার্শ্বে শৈল অর্ধ চন্দ্র ব্যাপিয়া বঙ্কিম অঙ্গ—-অরণ্য মণ্ডিত ছুটেছে পশ্চিমে। কটি দেশে প্রভাকর ; সুবর্ণ সুদীর্ঘ রশ্মি, তরুর বিচ্ছেদে পশি বন-অন্তরালে, করিয়াছে হায় ? শ্যামল কাননশােভা কারুকার্যময় ! মন্দিরের পার্শ্বে বসি কুরঙ্গিণী মাতা (দেবীর আশ্রিতা মৃগী) করিছে লেহন সাদরে শিশুর অঙ্গ । আনন্দে শাবক নচিতেছে, ছুটিতেছে, ফিরিতেছে পুন আনন্দে মায়ের বুকে নাচিয়া নাচিয়া। এই চিত্র, ভগবতি, দেখিতে দেখিতে, ভরিল অন্তর মাতৃপ্রেমে ; হায়, দেবি, ভাসিল নয়ন মম। কহিনু শঙ্করে— ‘ওই দেখ মৃগশিশু মায়ের আদরে,