পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সর্গ। ক্রমশঃ হইতে থাকে তিমির ছায়ায়, অন্তুর জগত তত হয় ভাসমান। যথা যত তমােময়ী হয় নিশীথিনী, গৃহালােকরাশি তত হয় সমুজ্জ্বল ! দেখিলাম, ভগবতি, অন্তর জগত ~~ বাসনার রঙ্গভূমি! প্রকৃতি গাম্ভীর্যে করিয়াছে হৃদয়েতে গাম্ভীর্থ সঞ্চার । একটী বাসনা-স্রোত বহিছে তথায় গম্ভীরে। বাসনা ?—মণিকর্ণিকার ঘাটে, বসি’ জাহ্নবীর তীরে, পূত জাহ্নবীর জলে, হায় ! অশ্রুজলে, পূত ততােধিক মাতৃস্নেহে বিগলিত, করিব তর্পণ। মায়ের অন্তিম স্থান দেখি, একবার, দুই বিন্দু অশ্রু তাহে করিব বর্ষণ।” “হায় ! ভগবতি, এই বাসনা আমার হইল জীবনময় ! বহিতে লাগিল, একাঙ্গ হইয়া মম জীবনের সনে, ক্রমে বিস্তারিয়া কায়। এই গিরিশৃঙ্গে, হায়। আসিতাম যত, পুনঃ পুনঃমন্ত্রে অকর্ষিত যেন !—তত এই বাসনায় হত যেন বরিষার সলিল সঞ্চার।