পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী। বীরত্ব-ভানুর যেন মধ্যাহ্ন গগন, অদৃশ্য, অনলোজ্জ্বল ; দেখেছি, দেখেছি যেন পড়িতেছে মনে। মৃদুলে তখন জিজ্ঞাসিনু---কে আপনি? উত্তর--‘শিবজী। ‘শিবজী!’-অজ্ঞাতে কণ্ঠে হ’ল প্রতিধ্বনি মম ; স্থির নেত্রদ্বয় হইল স্থাপিত অপলক, সেই বীর-বদন মণ্ডলে ! শরীরে ঈষং কম্প হ’ল সঞ্চালিত। নাহি জানি সে দৃষ্টিতে ভয়, কি বিস্ময়, শ্রদ্ধা, ঘৃণা, কোন ভাব পাই বিকাশ। প্রতি দৃষ্টি মম পানে করি কিছুক্ষণ, ত্যজিয়া পৰ্যষ্কাসন, বীরেন্দ্র কেশরী ভুমিতে লাগিলা ধীরে, অবনত মুখে, অন্যমনে, সন্ধ্যালোকে শিবির ভিতরে। “দাড়াইয়া শয্যাপাশ্বে, কিছুক্ষণ পরে, বিস্ফারিত নেত্রে চাহি মম মুখ পানে, বলিতে লাগিল। শূরবীরেন্দ্র ! তোমার অন্তুরের ভাব আমি বুঝেছি সকল। দ্য আমি ; বন্দী তুমি শিবিরে আমার এই হেতু ভয়কিম্বা বীরবর তুমি, ঘৃণা,-তব মনে আজি হইল সঞ্চার