পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় । লইয়া কক্করী নদী চলেছে সাগরে, চক্রে চক্রে শুনাইয়া ভূধর শৃঙ্খলে, নিরমল, সুশীতল, সলিল সঙ্গীত। সলঞ্জ কুমারীকুণ্ড আছে লুকাইয়া, নিবিড়-অরণ্যময় পৰ্বত গহ্বরে, বঙ্গের কুমারী যেন বঙ্গ অন্তঃপুরে। ক্ষুদ্র বারিবিম্বচয় ফুটিতে মিশায়, আমরি । লজ্জায় যেন,—প্রণয় অঙ্কুর কুমারী হৃদয়ে যথা! নাহি হেথা সেই অনল বাঙ্কার,-প্ৰেম হুতাশন শিখা যৌবন ল ভ । কিন্তু প্রেমরূপী বহ্নি দেখালে সলিলে, হাসি মুহুর্ভেক অগ্নি কুমারী হৃদয়ে, কুমারী-লজ্জায়, মরি যায় মিশাইয়া। কার তরে হায় ! এই প্রেম-বিম্ব-রাশি ফুটিছে, মিশিছে ; কার প্রেম-অগ্নি শিখা জ্বলিছে, নিবিছে ? কে বলিবে, হায় ! আমি জিজ্ঞাসিব করে। অবাক অচলশ্রণী, বিটপী নির্বাক, আছে দাড়াইয়া ঘেরি ঘাের প্রসরণে। কোথায় কুরঙ্গগণ করিছে চীৎকার ;