পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রঙ্গমতী।

চলিলাম আমি; কিন্তু সাজাইনু যেই
অনুপম বেশে ওই শ্যামাঙ্গ তোমার,
রাখিব সেই বেশ, ঋতুপতি আমি,
মম কিঙ্করের তরে; না রাখিব মম
শ্যামল নিকুঞ্জ, শ্যাম প্রমোদ-কানন
মম অনুচরগণ করিতে বিহার।
যাই আমি ’’-ঋতুপতি সরোষ অন্তরে
কেড়ে নিল বসুধার কবরী কুসুম;
হস্তের বলয় লতা; কণ্ঠের কোকিল;
বল্লরী লহরী-পঞ্চ; মলয় গহ্বর
করি অবরুদ্ধ স্নিগ্ধ মলয় অনিল;
শুকাইয়া কুঞ্জলতা, নব পত্রাবলি;
শীতল শ্যামল শোভা করিয়া হরণ;
কৌমুদী, আতপ বাসে, করি স্থানে স্থানে
নীল নিরদের ছায়া, কালিমা অর্পণ;
চলিলা সবেগে। হেন কালে বসুন্ধরা
ধরিয়া চরণে, মেঘে মলিনিয়া মুখ,
কল কল্লোলিনী নাদে যুড়িলা ক্রন্দন;-
“বারেক ফিরিয়া প্রভো! দেখ একবার,
এই অভাগিনী প্রতি; নহে দোষী দাসী।
ষড় ঋতু-আজ্ঞাধিনী করিলা দাসীরে