পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীর সর্গ। » মহা মহীরুহে, মহাশিলাখণ্ডচয়ে। জ্বলিতেছে রােষানল ধ ধ ধ জ্যোতির্ময় অগ্নিশিখা ; মহাযুদ্ধকালে, নির্গত হইয়া বহ্নি ঘটাবে প্রলয়। কিন্তু চন্দ্র শেখরের শিখর উপরে নাহি সেই বীরব । আহা! মরি হেথা সকলি মধুর। ওই মধুর অনিলে কোমল শ্যামল পত্র মর্মরে মধুরে ; তারণ্য রসুন-চৌকি নির্জনে মধুরে বাজাইছে ঝিল্লি ; শুনি অরণ্য কদলী। বিছাইয়া রবিকরে শ্যাম পত্রাবলি, সুগােল শীতল তন্বী, হাসিছে মধুরে শ্যামল কানন কোলে। থেকে থেকে মরি । দয়েল দিতেছে তান ; গাইছে কুকুট, স্বনে স্বনে ; বৃক্ষে বৃক্ষে নাচিছে রিশাল । আজি শিব চতুর্দশী, আজি সুমধুরে বামাকণ্ঠ-হুলুধ্বনি ধ্বনিছে পঞ্চমে। মন্দির প্রাঙ্গনে ওই বটবৃক্ষ-তলে, ছায়াতে বসিয়া এক তপস্বী যুবক, উদয় অচলে যেন দেব অংশুমালী। বিভূতি-ভুষিত অঙ্গ ; ভস্ম আচ্ছাদিত