নিদিধ্যাসন ১৩৭ বিদায়ের ক্ষণ সহসা এসেছে,— ভেসেছে আঁখি, যত বলিবার ছিল—আধা তার রয়েছে বাকী ! আমারও চলে আসতে মন সরছিল না ; কিন্তু মঠে মন্দিরে ঘণ্টা বেজে উঠেছে, সুতরাং আর বিলম্ব করলে সময়ে ফিরতে পারব না ভেবে, কাজে কাজেই আমায় উঠতে হ’ল ; তখন ওহানা বললে "মঠ মন্দিরের নিঃসংসারী নির্দয় মোহান্তগুলো ঘণ্টা বাজিয়ে আমার হৃদয়ের মুখ-শাস্তির আজ হস্তারক হ’ল।” তখন তার চোখ, ছল ছল করছে। কিন্তু কি করব ? তবুও চলে আসতে হ’ল। চ’লে এলাম শিথিল ক’রে বাহুর বঁাধনখানি, বাহুলতার কোমল বঁধন তার ; চ’লে এলাম, চলে এলাম কপালে কর হানি’ সজল দু'চোখ মুছে বারম্বার । সজল চোখে আমার পানে রইল চেয়ে রাণী,— দেখতে আমায় পেলে যতক্ষণ ; পথের বঁাকে হারিয়ে শেষে গেল ছবিখানি,— বঁাক চাদের আলোয় অদর্শন। (নীরবে অশ্রু বিসর্জন ) এমুনি ক’রে নিষ্ঠুরের মতন চলে এলাম, আসতে হ’ল—(পুনৰ্ব্বার অশ্রু মোচন ) আ-অ ! ওয়ে তুই এখনও কম্বল মুড়ি দিয়ে রইছিল—দেখু আমি তা ভুলে গিছসুম–কথায় কথায় ভুলে গিছসুম, খুলে ফেল-খুলে ফেল,— আহা তোর কষ্ট হচ্ছে, কম্বলখানা খুলে ফেল,—ও কি ? তুই বলে বসে ঘুমুচ্ছিল নাকি ? আচ্ছ, আমিই খুলে দিচ্ছি,
পাতা:রঙ্গমল্লী.djvu/১৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।