পাতা:রঙ্গমল্লী.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমল্লী তার, তবু —সে কি ঠিক আমার এ মেহের মতন ?— বহু মানসিকে গড় ? বহু দৈব আশ্বাসের বাসা ?— বিশ্বাসের স্বৰ্গবায়ু? দীর্ঘশ্বাস-সঞ্জীবিত আশা ?— অকল্যাণ-আশঙ্কায় চিরকাল আঁখিজল ফেলা ?— ছশ্চিন্তায় স্পন্দমান ?—অসম্ভব। তবু জানি মনে আমি কিছু নহি চিরদিন ; তোমা সম শান্তশীল বধু, ঘবে আনে পুত্র, এ আমার আজন্মের সাধ । আয়ুষ্মতী মা আমার ! মা আমার ! মাতৃহীনা মা পেয়েছে ফিরে । ঋষিদণসী বৎসে ! তুমি নাহি জান, বৃদ্ধ হৃদয়ের কী দুর্দশ ; পরিশ্রান্ত, অবসন্ন ; নুতনে আপন করি’ নিতে কত যে আয়াস তার । পুরাতনে প্রাণপণ বলে অঁাকড়িয়া ধরে থাকে ; ভুলেছিস্থ সন্তানেরে লয়ে এতদিন ; তাহারেও দিতে হবে নুতনেরে সপে,— সময় এসেছে , শা—অ ! নুতনে ও পুরাতনে, হার, দ্বন্দ্ব যদি বেধে যায়, নুতনেরি হ'বে জয়, জানি । পোড়া চোখে আসে জল, মনে কিছু কর না মা, তুমি, বুড়া বয়সের এই ধারা ; তবে আসি ; কাল তবে— (শিরশ্চন ও প্রস্থান) আর্যাধন একি ! বিবর্ণ যে মুখ | মা তোমারে বলেছেন কিছু ? আয়ুষ্মতী কই ? কিছু না—কিছু না ; বিবর্ণ হয়েছে নাকি মুখ ?