२३ রঙ্গমল্লী উঠেছি বাড়ির দিনে দিনে, একমাত্র সঙ্গী তার আমি এ নির্জন গৃহে, সঙ্গীহীন জীবনের সাখী । আমি না থাকিলে কাছে কে শুনাবে প্রতিদিন, পিতা ! দেবতার বন্দন সন্ধ্যায়, কে স্বধাবে স্তন্ধ সাঝে মায়ের যত সে কথা, যার কথা কহি তুমি আজে লঘু ক’রে নাও নিজ মন, নয়নের জলে তিতি ;– ব্যক্ত করি’ গুপ্ত শোক । এ বৃদ্ধ বয়সে হায় পিতা, অযত্ন তোমার যদি হয়, মরেও পাবনা শান্তি তবে । হায়, তাই ভাবি তোমার ভাবনা সব আগে । তার পর,—মনে মনে যে পেরেছে সোনাব সংসার,→ রাত্রি জেগে বসে আছে সোনালি মেঘেব প্র তীক্ষায় পুৰ্ব্বদিক পানে চেয়ে, সহসা যে আশাহত আজ,— ভাবিলাম তার কথা । কিন্তু, কাজ নাই সে কথায়, সে কথা লুকানো থাক হৃদয়ের তপ্ত ছুটি নীড়ে । প্রিয়তম । সে স্বপন নিতান্তই ব্যর্থ যদি হয়,— তাই হোক ; সে কথা তুলোনা তবে আর, ভোলা ভালো এখন সে স্বন্দর স্বপন । ভাবি আমি, এর পর কেমনে কী ভাবে তুমি, হায়, জগতে কাটাবে কাল ভগ্ন এ হৃদয় লয়ে ; পাতিতে কি পরিবে সংসার ? ছুটি জীবনের স্বত্র—এমনি সে গিযেছে জড়ায়ে এক সাথে, দিনে, দিনে -—এখন সে একটি ছিড়িলে আরটিও হয়তো ছিড়িবে ; তাই ভাবি, তাই ভাবি। আর ভাবি মরে-যাওয়া সে কী ভয়ঙ্কর—কী কঠিন । আমি যদি হইতাম সঙ্কোজাত ক্ষুদ্র এক শিশু
পাতা:রঙ্গমল্লী.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।