আয়ুষ্মতী Rరి আলোকে ক্ষণেক হেসে পরক্ষণে যেতাম মরিয়া, এত সুকঠিন তবে হত না মরণ ; কিম্বা যদি বৃদ্ধ কালে হ’ত মৃত্যু—উপবন শ্মশান যখন – নীখবে যেতাম চলে তারালোকে, বিনা অশ্রুপাতে। কিন্তু হায় । শিরায় শিরায় যবে আনন্দ-স্পন্দন মনে মনে পৃথিবীব নানা সুখ সম্ভোগের সাধ এ কিশোর কালে হয়, নুতনের নেশা নিয়ে চোখে আচম্বিতে চ’লে যাওয়া । আলোকের অালয় ফেলিয়। ছায়া হ’য়ে শূন্তে ফেরা,—কাকলি-কুজন-হীন দেশে ! শশান-অশথ-ছায়ে ভেসে ফেব। বৈতরণী-জলে জীর্ণ পর্ণ সম, হায় ! শোনা শুধু মৃতের নিশ্বাস । মরণ আসন্ন মোর ! ওগো প্রিয় ! ওগো প্রিয়তম । আর তো সরম নাই তোমারে জানাতে এ সময় হৃদয়ের সব সাধ ; ইচ্ছা ছিল ওই তব বুকে নিজেরে সঁপিয়া দিতে, পরশের পরম রভসে ডুবে যেতে ধীরে ধীরে, হরষের নিবিড় নিশীথে । সন্তানেব ছিল সাধ আশৈশব মনের গোপনে, ছিল সাধ সপিতে তা সবে একে একে অঙ্কে তব, ছিল সাধ স্তন্য দিতে ভাৰী বার অদস্ত শিশুরে, ভেবেছি ভাবী কোনো কবি পুষ্ট হ’বে স্তন্তে মোর। কিছুই হ’লন হয়। যেতে হ’ল অকালে চলিয়৷ , অনাঘ্ৰাত পুষ্প সম অকলঙ্ক অম্লান জীবন, অকালে সে ডুবে যাবে মরণের মৌন অন্ধকারে । সব কথা ভাবিয়াছি, মুহূর্বে জেগেছে প্রাণে সব ;
পাতা:রঙ্গমল্লী.djvu/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।