৩৮ রঙ্গমল্পী পারেন নি, তাই সে কুৎসিত ব'লে আমায় রাজার কাছে বর্ণনা ক’রেচে ; আমার ছবিখন পর্য্যন্ত বিগ ড়ে দিয়েচে ; গোড়াতেই রাজার মন ভাঙিয়ে নিয়েচে । রাজা যখন এদিকে আসেন লোকে আমায় সাবধান ক’রে দিয়ে যায়, আমায় সরে যেতে বলে। আমার রাজা,—শুধু কুচক্রীর চক্রে পড়ে,-আমার পানে এ পর্য্যন্ত একবার ফিরেও চাইলেন না। আমি কী দুর্ভাগ,—কী দুর্ভাগ ! সময় আর কাটতে চায় না। এই নিস্তন্ধ রাত, এই জ্যোৎস্না,— কেউ নেই। ভাগ্যে সেতারটি সঙ্গে এনেছিলুম ; এখন এই আমার বন্ধু, এই আমার দোসর। (সেতার বাজাইতে বাজাইতে প্রস্থান ) ( সম্রাটের সঙ্গে কাপড়ের লণ্ঠন হস্তে প্রতীহারীর প্রবেশ ) সম্রাট প্রায় শতাধিক কিশোরীকে প্রাসাদে আনা হ’য়েচে, কিন্তু, কই ? তেমনতর সুন্দরী একজনও দেখা গেলনা। আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এমন একজনও নেই । নাঃ, বিরক্ত হ’য়ে গেছি,—সমস্ত ব্যাপারটার উপর বিরক্ত হ’য়ে যাওয়া গেছে। ( মেপথো সেতারের আওয়াজ ) ওকি ? কোনো নবাগত মুন্দরী সেতার বাজাচ্চেন নাকি ? প্রতীহারী ੇ অনুমান করা হয়েচে । আমি এখনি ওঁকে মহারাজের আগমন সংবাদ দিয়ে আসচি। সম্রাট উছ, দাড়াও ; স্বর্ণ তোরণের প্রতীহারী, তুমি খোজ নিয়ে
পাতা:রঙ্গমল্লী.djvu/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।