《, রঙ্গমল্পী থেকে বাচাতে পারলে না ? পত্নীবর্জন ভিন্ন রাজ্যরক্ষার কোনো উপায় ভেবে পেলে না ?— অকৰ্ম্মণ্য । ( ঘোড়া হইতে নামিয়া শাওকীনের হস্তধারণপূর্বক অশ্রুবিসর্জন ও নাট্যের দ্বারা পরস্পরের দুঃখ-প্রকাশ ) দুত দেবি ! একটু ত্বরান্বিত হ’তে আজ্ঞা হোক ; আকাশ অন্ধকার হ’য়ে এল, সন্ধ্যার আর বিলম্ব নেই। শাওকীন প্রভু! আর কবে আপনাকে দেখতে পাব! কেমন ক’রে দেখতে পাব!—আজ যে রাজার রাণী কাল সে বৰ্ব্বরের বাদী হবে। প্রাসাদের বেশ এইথেনেই ছেড়ে যেতে চাই, এই উজ্জল সাজ চামড়ার তাবুতে একটুও মানাবে না। দুত দেবী, আবাব আপনাকে বিরক্ত করতে হ’ল—একটু ত্ববান্বিত হ’ন অত্যন্ত দেরী হ’য়ে যাচ্চে। সম্রাট না, আর দেরী কিসের ? শাওকীন! অনেক দূরে চলে যাচ্চ, কিন্তু দেখ, আমাদের অনুরাগের এই পেলব স্মৃতি রোষের আগুনে যেন নীরস হ’য়ে না উঠে, অভিমানের স্পর্শে যেন মলিন হয়ে না যায়। আমার অক্ষমতা স্মরণ ক’রে ক্ষমা কোরো,—মনে রেখে । ( শাওকীন ও দূতের প্রস্থান ) আমায় লোকে বলে সম্রাট । চীনরাজ্যের ভাগ্য বিধাতা ।
পাতা:রঙ্গমল্লী.djvu/৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।