পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कुँमांब्र-नडैष fনরখি যে অকলঙ্ক চারু রূপবতী, লজ্বজা-অনুভবে পরাভব মানে রতি ; জিতেন্দ্রিয় হর-পরাজয়ে আর-বার, হইল কামের মনে কামনা-সঞ্চার ॥৫৭৷৷ ভাবি পতি পশুপতি প্ৰেম-অনুরাগে, দাঁড়াইল৷ শৈলস্থতা দ্বার-পুরোভাগে, দেখিলেন---ধ্যানে ধরি পরামায়ূধনে, সার জ্যোতি-দর্শনে সুখী শিব মনে ॥৫৮৷৷ অনন্তর অনন্ত কম্পিত-কলেবরে, বহু যতুে ধরতিলে ধরে শিরোপরে,--- প্ৰাণ-রোধ করি যিনি করেন মোচন, শিথিল হইল সেই শিবের আসন ॥৫৯৷৷ পৃপমি সভয়ে নন্দী করে নিবেদন, “এসেছেন শৈলসুতা সেবিতে চরণ, আজ্ঞা যদি হয় পভো করেন প্রবেশ” ভ্ৰ ভঙ্গীতে অনুমতি দিলেন মহেশ ॥৬০৷৷ পরে শৈল-নন্দিনীর সঙ্গিনী-অাবলি, প্ৰণমিয়ে শিবপদে দেন পুষ্পাঞ্জলি, হেমস্তের অস্তকারী বসন্ত-প্রসূন .অভঙ্গ পল্লব-পুঞ্জ নিজ হস্ত-লুন ॥৬১৷৷ উমার কিরণ চারু চিকুরের মাঝে, নব কণিকার ফুল শোভিত সুসাজে, বৃষভবাহন-পদে করিতে প্ৰণাম, কৰ্ণ হতে খসিয়া পড়িল পুষ্পদাম ॥৬২৷৷ পুণতারে সম্বোধিয়ে কন পশুপতি, “অনন্য-প্রণয়ী পতি প্রাপ্ত হও সতি।” সেইরূপ পাৰ্ব্বতীর হলো ফলোদয়,--- মহাপুরুষের বাক্য কভু মিথ্যা নয় ॥৬৩৷৷ শর সন্ধানের কাল বুঝিয়া অনঙ্গ--- বহিমুখে যেতে যথা লোলুপ পতঙ্গ--- উনার সম্মুখে হরে লক্ষ্য বদ্ধ করি, মুহুৰ্ম্ম ছ আকৰ্ষিল ধনুৰ্গুণ ধরি ॥৬৪৷৷ সেই কালে আরক্ত শৃnকরে গিরিবালা, আপিলেন তপস্বীরে পদাবীজমালা--- ১১৭ দিনকর-খর-করে বিশোধিত-প্লস, মন্দাকিনী-জলে জাত সেই তামরস ॥৬৫৷৷ ভক্তিমতী পার্বতীর প্রীতির কারণ, শিব সমুদ্যত মালা করিতে গ্ৰহণ, অমনি কুমুমধনু করিয়া সন্ধান, নিয়োজিল সে অমোঘ সম্মোহন বাণ ॥৬৬৷৷ হরের হইল কিছু ধৈর্য্য পরিগত, চক্রের উদয়কালে অম্বুরাশিমত,--- উমামুখে অধরোষ্ঠ যুগ্ম বিম্বফল, ত্রিলোচন-ত্রিলোচন তাঁহাতে বিহবল ॥৬৭৷৷ নগ-নন্দিনীর কিছু হলো ভাব-ভঙ্গ, কোমল কদম্ব-কল্প শিহরিল অঙ্গ, বিভ্রমেতে বীড়ানত হইল লোচন, সাঁচীকৃত করিলেন সুচারু তানন ॥৬৮ । পরেতে পরেত-পতি প্রাদুর্ভাব সহ, বলবানু ইন্দ্রিয়ের করিয়া নিগৃহ, চিত্তবিকারের হেতু অনুেষণ হেতু, দশদিকে দৃষ্টি করিলেন বৃষকেত ॥৬৯৷৷ দেখিলেন মনোভবে--আলীঢ়আসনে, দক্ষিণ অপাঙ্গতটে দৃষ্ট আকর্ষণে, আকুঞ্চিত সব্যপাদ কন্ধর বিনত, চক্রাকৃত চাপ চারু মারিতে উদ্যত ॥৭০৷৷ তপোভঙ্গে কোপের প্রভাব ঘোরতর--- বিকট ম্র ভঙ্গীযুত মুখ ভয়ঙ্কর, তৃতীয় লোচন হ’তে হুইয়ে প্লোজ্বজল, সহসা উদয় আসি হইল অনল ৷৷৭১৷৷ “সংহর সংহর ক্রোধ প্রভো শূলপাণি।" আকাশে মরুতগণ কহে এই বাণী, না হইতে ভূভাগে এ বাণী-অবতার, হর-নেত্রানলে কামতনু চারখার ॥৭২৷৷ অতি ঘোরতর শোকে অচেতনমতি, একবারে মূচছাগত হইলেন রতি, পতির দুৰ্গতি ক্ষণে না জানে অস্তরে,--- মঙ্গল-দায়ক মোহ মোহিনীর তরে ৷৷৭৩৷৷