পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 সাধু নাম ধরে, প্রকৃতি চুরি। মুখে মধু ক্ষরে হৃদয়ে ছুরি। তুমি কি তাহারে জান হে ধীর ? কিঞ্চিৎ কর না উপায় স্থির । অথবা নাবিক বিজ্ঞান জান । বিপৰ্থ-বহির কুলেতে আন । তব পতি দিয়ে এ গুরু ভার। আমাদের হেথা কি কাজ আর II' যেমন বচন আমনি কাজ । অবাক হইল যুবক-রাজ । গৃহ পতি সবে করিল গতি । ন পুরের স্বরে জাগিল সতী । আর্থিবিথি তথা উঠিল বসি । রাহু-মুখ-মুক্ত যেমন শশী । দেখিয়ে সঙ্গিনী সকলে ধায । নিকটে দাড়ীয়ে নাগররায় । নাগরে নিরখি fশহরে হিয়া । সহচরীদলে প্রবেশে গিয়া । নিরখি নীযক যুড়িয়ে পাণি । কহিছে মধুর রসাল বাণী । “কোথা যাও মধুরা বিধুরা হয়ে ভ্ৰমে ? শমজল ললাটে উদয় পরিশ্রমে। শিশির-শীকরে সিক্ত সরসিজ পায়। জলে স্থলে আজি এ কি শোভা হায় হায় ৷ উভয়ের এক দশ। পদোষ-সময়ে। হের হের হরিণাক্ষি সরসী-হৃদয়ে। হের তোমা নিরখিতে কুসুম সকলে। একে একে নয়ন মেলিল জলে স্থলে । অই দেখ নিরখিতে তব মুখশশী । কুমুদ ঘোমটা খুলে সলিলে, পেয়সি । অই দেখ মল্লিকা যুথিকা থরে থরে। হাসিতেছে ভাসিতেছে সুখের সাগরে । অই শুন মন্দ মন্দ ‘ মলয়জ বহে । মৃদুস্বরে মনের উল্লাস বুঝি কহে । অর্থব সুরভি তব হরণ কারণ। ’ চোর-প্রায় চুপি চুপি চলিছে পবন । । এ সকলে পরিহরি যাইবে কোথায় । উচিত না হয় তৰ, শোভা পাহি পায় । রঙ্গলাল গ্রন্থাবলী যার প্রসনুতা লাভে লুব্ধ এত জন । পত্যাহার তার পক্ষে না হয় শোভন।। কিঞ্চিৎ বিশাম কর বসি এই স্থলে । তোমার সেবায় 'তুগু হউক সকলে । আর শুন চারুশীলে মম নিবেদন । । তব প সন্তা-লুব্ধ আর এক জন । বীরতা বনিতা তার ছিল এত কাল । সেই রস তার কাছে পরম রসাল। সেই মাত্র বরণীয়া শরণীয়া তাঁর । কিবা দিব।-বিভাবরী বিনোদ বিহার। আজি এই শুভক্ষণে সে ভাব বিগত । নবভাব আবির্ভাব সুখী তাহে কত । তোমারে নিরখি ধন্য মানিলেক মনে । বীরতার প্রেমডোর ছিনু এইক্ষণে । এ জগতে যত কিছু অাছে মধুরতা । তুমি তাঁর সারময়ী ওহে স্বর্ণ লতা । সে মাধুরী-সুধা তব নয়নে অশেষ । কটাক্ষে তাঁহার হৃদে করিল প্রবেশ । তেমন অমিয় নহে কভু আস্বাদিত। একেবারে মানস হইল উনুদিত । মাতাইয়ে কোথা যাও কেমন এ দয়া । কর ঘোর নিবারণ ভূপতি-তনয় ।” শুনি কথা নম্ৰমুখী অধিক লজ জিতা। বিবাহ-বাসরে যথা বাসকসজ্বজিতা । সহচরীগণ-মাঝে করিল প্রয়াণ । শ্যেন-ভয়ে ভীতা কপোতিনীর সমান । সাবাস চতুরা ধারা, সাবা চাতুরী। সাবাস সময় গুণ, সাবাস মধুরী ৷ ‘ · মানস-মাঝারে প্রেম-নিৰ্বর উথলে। কি সাধ্য নয়ন-পথে প্রবাহ নিকলে । লজ্বজা তার দ্বার রুদ্ধ করিয়াছে তটে। ফিরে যায় পেমস্রোত মনের নিকটে । লুকাইতে লজ্বজাভরে নয়নের জুলি । তাই বুঝি অধোমুখে রহে কুলবালা ? হায় রে বয়সসন্ধি সুখের সময় । আর কি সময় অাছে হেন রসময় ? লজ্জাসহ পুণয়ের হয় হাতাহাতি । যর্থ পাতে তম:সহ তপনের ভাতি ।