পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মদেবী ক্রমে যত তেজ বৃদ্ধি হয় ভানু-করে। ততই তিমিরচয় বিগত অস্তরে । পরিশেষে পরিপূর্ণ প্রভার বিজয়। সেইরূপ লজ্জা গতে প্লেমের উদয়। ফলে যথা তিমির মিহির ছাড়া নয় । লজ্বজসহ পুণয়ের সেই ভাব হয় । উভয়ের রাজধানী সতীর হৃদয় । হায় রে বয়স্থসন্ধি মুখের সময় । সারিলে সে সুখময় রসের যৌবন। নেচে উঠে যুবাপায় প্রাচীনের মন । ক্ষণেক জড়িমশন্য জরতীর দশ । স্থবিরা যৌবনমদে হয় মদালস । কিন্তু সে অসার সুখ স্বপনের প্রায়। চেতনায় কেবল যাতন বৃদ্ধি পায়। হায় বিভাবনা যেন নীহারের হার । দেখিতে দেখিতে ভানু-কিরণে সংহার। হেথা শুন সমাচার সঙ্গিনী-সদনে । কৰ্ম্ম দেবী দাঁড়াইলে বিনতবদনে । সাধু সম্বোধনে কহে এক সহচরী। শারিক। তাহার নাম প্ৰগল্‌ভ সুন্দরী । “কেমন এ বীর-ধৰ্ম্ম বুঝিতে না পারি । কোথা শৌর্য্য ? শূর হয়ে চৌর্য্য-অধিকারী। অবল। সরলা বালা ঠাকুর-দুহিতা । চিত চুরি করিলে হে করিলে মোহিতা । পিছে এ কি চমৎকার বীরের লক্ষণ । কি সাহসে করিলে হে প্রাচীর লঙঘন ? কুলবালা-প্ৰমোদ-কানন-স্থল এই ৷ ইথে যে পুরুষ আসে, অবিনয়ী সেই ৷ ভূপজার ভাবান্তর করিলে লোকন। এ পাপের পায়শ্চিত্ত করহ শবর্ণ। এইক্ষণে ভূপতি সমীপে কর গতি। আতিথ্য-দক্ষিণ চাও করিয়া মিনতি । এমন দক্ষিণ। আর কে পায় কোথায় ? কুবেরের সর্বস্বে সমতা নাহি পায়। যাও যাও যুবরাজ ত্যজ এ সমাজ । ত্যজ লাজ, যদি চাও সাধিতে স্বকাজ ।” সাধু কন, “বীর-ধৰ্ম্ম আছে কি না আছে। রজনী-প্ৰভাতে সবে জানিবে হে পাছে। >6t শুনি নাই হেন রীতি অতিথি যে জন । পার্থনা করিয়া করে দক্ষিণ৷ গহণ । গৃহী যেই করে সেই দক্ষিণ প্ৰদান । সবর্বত্র সুনীতি এই, বেদের বিধান । তোমাদের এ দেশে সকলি বিপরীত। পার্থনা বিরহে নহে দক্ষিণ বিহিত। পতঙ্গ মাতঙ্গ মীন কুরঙ্গ প্রভৃতি। রূপ গন্ধ রস রবে প্ৰমত্ত প্রকৃতি । কুরঙ্গস্বরূপ আমি ভ্ৰমি মুখবনে । সহসা বিনোদ ধ্বনি পূ বেশে শূ বণে । মোহিত করিল মন মনোহর স্বরে । মত্ত হয়ে আইলাম কুঞ্জের ভিতরে । সুধাস্বরে ছিল সুধু প্ৰমত্ত শবণ । হেরি অপরূপ রূপ মাতিল নয়ন । যথা সরসীর জল কম্পন সময় । পদাবন-পকম্পন ঘন ঘন হয় । শ্রীতি আখি মাতিল, মাতিল তাহে ঘন । করিলাম ভিক্ষু-পায় প্রাচীর লঙঘন । দাতা-দ্বারে দাড়াইয়া দীন দীর্ঘশয় । ভিক্ষা করি আশা যদি পূর্ণ নাহি হয়। তবে আর কি কাজ এ স্থানে অবস্থান ? বিমুখ অতিথি কবে স্বস্থানে পুস্থান ।” এত বলি কবে সাধু পূর্বপথে গতি । নিরখি নৃপতি-শাল সচঞ্চল অতি । শারিকারে সম্বোধিয়ে কহেন বচন । “আলো আলি কি করিলি কহ না এখন । অবিনয়ে নাথের করিলি ভাবাস্তর । झांश झाँग्न उठांदनांग्न यञ्चिन्न उप्रख्द्र । অঙ্কুরিত প্রেম-তরু এমন সময় । আঘাত করিল প্রভঞ্জন অবিনয় । অঙ্কুরে আঘাত পেয়ে বুঝি হয় নাশ । কি হবে নাহিক আর আশ্বাসে বিশ্বাস।” মদালস কহে “শুন ঠাকুর-কুমারি । কুমারের এক বাক্যে আশা আছে ভারি । কহিলেন বীর-বৃত্তি আছে কি না আছে। রজনী-পূভাতে সবে জানিবে হে পাছে। শুনিয়াছি কল্য পাতে হবে ঘটাযোর । দেখাবেন নানা শিক্ষা তব মনচোর।