পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঞ্চীকাবেরী Sbسe( ভারত ভরিয়া আছে সেবক আমার । এক স্থানে নাহি থাকি ভ্ৰমি এ সংসার । আমার হইয়া সবে অামারে না চিনে । ক্ষণেক থাকিতে নীরে কিন্তু আমা বিনে । চতুর্দশ গড় মম দুৰ্গম বিশেষ । আজ্ঞা বিনা কার সাধ্য করিবে প্রবেশ । সম্প্রতি যেতেছি কাঞ্চী-অধিপতি-জয়ে। বড় তার গবর্ব, খবর্ব করণ অাশয়ে । পশচাতে আসিছে বহুতর সৈন্যদল । হাতী ঘোড়া রথ পদাতিক মহাবল । যাইতেছি দুই ভাই সকলের আগে । এখানে বিলম্ব তব নব অনুরাগে।” তাহা শুনি গোপী কহে কৃতকৃত্য হয়ে । “নাহিক ভাজন হেথা কিসে দিব লয়ে ? কাহাকে বা আগে দিব বল হে গোসাই । অধীনীর ঘরে চল হেথা স্থানা নাই।" অগ্ৰজ বলেন “চিন্তা কিসের কারণ। যাতে দিবে তাহাতেই করিব গ্রহণ। আমাদের অনাচার সদাচার নাই । যেখানেতে যাহা পাই তাহ খেয়ে যাই । আন আন যদি দধি দুগ্ধ আর উপহার। ভাণ্ড থেকে দুই ভেয়ে করিব আহার। পশচীতে খাইব আমি অন্যথা না কর । ছোট ভেয়ে দেহ নবনীত ক্ষীর সর।" কৃষ্ণ রাজপুত কন "ইহা যে অনিষ্ট । জ্যেষ্ঠে রাখি কেমনেতে খাইবে কনিষ্ঠ ? আপনি খাউন আগে আমি খাব পরে ।” কতক্ষণ কথার কলপনা পরস্পরে । মধ্যভাগে দাড়াইয়া গোপের কামিনী । সিতাসিত মেঘমাঝে যেন সৌদামিনী । কালীয় পুরুষ প্রতি মন মজে ছিল। “তুমি আগে খাও” বলি বাড়াইয়া দিল । অগজের বাক্য পুনঃ না করি লঙঘন । আগে কৃষ্ণ অশ্বারোহী করেন ভোজন। পরশিছে গোপবালা আনন্দে বিভোলা । কর উত্তোলনে উভ স্বতনুর চোল । শ্ৰীমুখের প্রতি একদৃষ্টে চেয়ে রয়। षTांन, ऊांन, गन, शृंjä कब्रिल विकग्र । সামালিতে ন পারিল লজ্বজ। গেল দূরে । পুলকিল তনুরুহ প্রণয়-অস্কুরে । করে কর পরশে হরমে মুগ্ধ মন । মহীতলে পড়ে ক্ষীর ত্যজিয়া ভাজন । নিরখিয়ে সিমতানন কালীয় তুরঙ্গী। ভাবগ্ৰাহী ভাবে বশ হেরি ভাবভঙ্গী। কহিছেন, “ক্ষুধা তৃষ্ণা হইয়াছে দূর । অগ্রজেরে দধি দুগ্ধ দেহ গো পচুর।” তাহা শুনি আভীরিণী সানন্দ-অস্তরে । শেত রাউতের করে গব্য দান করে । উদ্ধব, আক্রর নাম সহিস দুজন । জল দিল মুখ হস্ত শোধন কারণ। অনন্তর দুই ভাই প্রফুল্ল-অস্তর। অশু-চালনায় হইলেন অগ্রসর । গোপালিনী চলে গেল স্বজনে ভবনে । ই তাদের সঙ্গে যাব ভাবে মনে মনে । কহে, “ঘরে বরে তাব কিবা পয়োজন ? নবীন কিশোর কৃষ্ণে অপিযাছি মন ।” ছল করি দুই ভেয়ে কহে রসময়ী । “দই খেয়ে চলে যাও, কড়ি দিলে কই ।” কৃষ্ণ কন, “আমাদের সঙ্গে কড়ি নাই। ধন-জন পিছে রেখে এসেছি দুভাই ।” গোপী কহে তবে আমি সঙ্গে সঙ্গে যাব । সংযোগ হইলে পরে কড়ি বুঝে পাব।” উত্তৰে কহেন কৃষ্ণ, “কত দূরে যাবে ? দেীড়িয়া ঘোড়ার সঙ্গে মহা কষ্ট পাবে।" মাণিক কহিছে, “দেব ! এ ত বড় রঙ্গ । কড়িও দিবে না তার নাহি লবে সঙ্গ । কি করিব বল প্ৰভু ! ঘরে ফিরে গিয়ে । বিনি মূলে যাও দোহে দুধ দই পিয়ে।” কালীয় কহেন, “শুন শুন গো মাণিকি । খেলে কড়ি দিতে হয় এ কথা জানি কি। কি করিব এখন লাগিল বড় ধাধা । যাহা কহ তোর কাছে রেখে যাব বাধা ।” সে কথা শুনিয়া ভূঁই ছুয়ে গোপাঙ্গন । ছি ! ছি। কহে বার বার কাটিয়ে রসন । কহে “প্ৰভু ! মোর চেয়ে অধম কে আছে ? দ্রব্য দিয়ে বাধা সব তোমাদের কাছে ।