পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান্ধীকাবেরী জদমিয়া সহ্য-কেশে, পূবেশি বিদূর দেশে, ত্রুতগতি ভাগীরথী প্রায় । , তরঙ্গ তরঙ্গে রঙ্গে, প্রণয় প্রফুল্ল-অঙ্গে, প্রবেশিছে পয়োধির কায় । কৃষ্ণা অস্তে কত দেশ, কি বণিব সবিশেষ, গোগুলোক অনুগোল আদি। তৈলঙ্গ তমিল লাটী, কেহ কহে মারহাটী, একদেশে নানা ভাষাবাদী। অই প্রবাহিত সতী, তৈলপণী • সোতস্বতী, পাণ্ডুদেশ করিছ পাবন। কত চন্দনের বন, তব তটে সুশোভন, অগুরু কালীয় কুচন্দন। সৌরভের খনি এলা, উপবনে করে খেলা, দারুচিনি তরুর সহিত । পুদোষে তোমার তীরে, মলয়-সমীরে ধীরে, সুরভিতে মানস মোহিত । बछ्यूजा गूख्ॉगग्न, বিলসিত শুক্তিচয়, তরঙ্গিণি । তোমার সঙ্গমে | বিলাস-মুখের সার, তব দেহে অলঙ্কার, বিধি কি ভূষিলা যথাক্রমে ? চোলমণ্ডলের পাট, আই হ্রদ পুলিকাট, . নেলুর প্রভৃতি কত পুর। কণ টের অধিকার, চারিদিকে সুবিস্তার, কাঞ্চীপুর নহে বড় দূর। ীিনাথের পদ সেবি, শীরূপিণী তুমি দেবি, বরনদী কর্ণাটে কাবেরী। প্রাবৃট-পুরিন্তে তব, পরিণয়-মহোৎসব, যত্র তত্ৰ বাজে তুরী ভেরী। শীরঙ্গপত্তন নাম, শূীরঙ্গনার্থের ধাম, তব কুলে শোভা নিরুপম । দেবের দূর্লভ স্থানে, দেবীকোট-সন্নিধানে, করিয়াছে সাগর-সঙ্গম ৷ কেরলে উত্তৰ তব, সে দেশের রীতি সব, শুনিয়াছি বিচিত্র বিচল । স্বৈরিণী নাগর নারী, যেন নিমুগার বারি, পরিণয়-বন্ধন বিফল ৷ • আধুনিক নাম পাৰ্ণেয়ার هجمالا কেরলীর কেশপাশ, * নাকি অতনুর বাস, চমরী-চমূর গৰ্ব্ব হরে । লাবণ্য-প্রসূন-ডালা, নাকি সব দ্বিজবালা, কমলার রূপগুণ ধরে । পরিহিত চিত্রবাস, রবি-ছবি পরকাশ, তনুরুচি চন্দনে চচিচত। সেই দেশ ধন্য হয়, সেই দেশে নারীচয়, সদীকাল অাদরে অচিচত ৷ দেখ দেবীকোটপুর, শিবজর-দপ চুর, যেখানে করিল বিষ্ণুজর। এই সেই উমাবন, বাণরাজ-নিকেতন, পরাখ্যাত কোটভী নগর ।

  • ভারতবর্ষের ভিনু ভিনু প্রদেশীয় অঙ্গনীগণ যে সকল বিশিষ্ট বিশিষ্ট রূপ-প্ৰতিভায় প্রতিভাত, তাহ নিমুলিখিত কবিতায় পরিচয় দিতেছি ।---

“বাচি শ্ৰীমাধুরীণাং জনক-জনপদ-স্থায়িনীনাং কটাক্ষে, দন্তে গোঁড়াঙ্গনানাং সুললিতজযনে চোৎকল-প্রেয়সীনাম্। তৈলঙ্গীনাং নিতম্বে সজল-ঘনরুচে কেরলী-কেশপাশে, কর্ণাটনাংকটে চ সফুরতি রতিপতিগুর্জরীণাং স্তনেষু।” “বোধ হয়, নানাকুসুমকেলিপরায়ণ এই কবিমধুপ কাশ্মীর, অযোধ্যা, মালব এবং সিংহলে ভ্ৰমণ করেন নাই, তাহা হইলে ভারতবর্ষীয় ভাবিনীদিগের পুকৃত রূপমহিমার পরাকাষ্ঠী দৰ্শন করিতে পারিতেন। আমি পূর্বে কোন মৃত মিত্র কবিকে উক্ত কবিতার অনুবাদ করিয়া দিয়াছিলাম, কিন্তু তাহ। সূরণ নাই, অতএব দ্বিতীয়বার অনুবাদ করিলাম, যথা--- মধুপুর-বধুকূল মধুর বচনে। বিদেহবাসিনী বালা চঞ্চলনায়নে । বঙ্গীয় অঙ্গনীগণ সুচারু দশনে । -উৎকলীয় বামাদের ললিত জঘনে । তৈলঙ্গী চাহবঙ্গীচয় নিতম্ব-শোভনে । কেরলীর কেশপাশ ঘন নবঘনে । কণাটীর কটি আর গুর্জরীর স্তনে । রতিপতি বার গেম সদা সুখী মঙ্গে।