পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चैबै. রঙ্গলাল গ্রন্থাবলী সরল ভূপতিবালা আমারে বরিলা । অযাচিত ধন-দানে কৃতাৰ্থ করিলা । কিন্তু এই পূর্বাপর আছে ধৰ্ম্মনীতি। এই শ্রুতি স্মৃতি, এই সর্বদেশে রীতি। পিতা সত্ত্বে দুহিতার স্বতন্ত্রতা নাই। যার ধন তাঁর কৃত সম্প্রদান চাই। ॐब्रि-के-श्रेयुंब शनि ८मन ७झे निशि । গ্ৰহণ করিতে পারি যথা শাস্ত্র-বিধি । নতুবা এ কার্য্যে মম অভিমত নয়। পরিণয়ে পাণিদান উপযুক্ত হয়। মানময়ী মনোলোভা মহীপ-কুমারী। মান ভঙ্গ করিতে তার নাহি পারি। অতএব মালামাত্র শিরে ধরি পরি। এই নিবেদন মম শুন সহচার । যথাবিধি বিবাহের যদি পাই ীিক । তবে সে বরিতে পারি ভূপতি-বালিকা ৷” এত বলি সমাদরে মালা তুলে লয়ে । তুষিলেক শিরস্ত্রণে সিমত-মুখ হয়ে। বলিচক্ৰ হৈতে বীর হইল বাহির । তিমির করিয়া ভেদ যেমন মিহির । লোকীরণ্য মাঝে উঠে মহা কোলাহল । কত কথা কহে যত দিদৃক্ষু সকল। কেহ বলে কি বলিল সব শুনি নাই । কেহ বলে এমন না দেখি কভু ভাই। কেহ বলে “কেমনে এমন হবে বল ? কি ভাবিবে রাজপুত্র অরণ্য কমল। কি বলিবে তার পিতা চওদেব রায় । হইবে সমর ঘোর বুঝি অভিপ্ৰায়। হেন অপমান কভু সহিতে নারিৰে। তার সহ এ বিবাদে সাধু কি পরিবে ?” কেহ বলে, “কৰ্ম্মদেবী করিল কি কাজ । হাসাইল রাজস্থান, রাজন্য-সমাজ । প্রাচীন, কুলীন, ধনী, পরাক্রান্ত অতি। প্রধান পদবী কার রাঠোর সংহতি ? এমন বংশের বংশধর যেই জন । কৰ্ম্মদেী সহ তার সম্বন্ধ ঘটন। অনায়াসে সেই সন্ধি করিয়া ছেদন । জন্যেরে বরিলা বালা এ রঙ্গ কেমন ?” ७शेंद्रां★ नांना दशं व्ज़rग्न नांनी छन । দলে দলে করে সবে স্বলিয়ে গমন । এখানে সংবাদ শুন, শ্রীমাণিক্য ভূপ। উথলিত চিন্তাজালে চিত্তরূপ কুপ। বিষ4বদনে পুরে করয়ে প্রবেশ । নন্দিনীরে ডেকে আনি জিজ্ঞাসে বিশেষ । “একি গে৷ কুমারি, একি কহ গে৷ কুমারী ? কেমন তোমার কৰ্ম্ম বুঝিতে না পারি। কহ বাগদত্ত। যেই, কহ বাগদত্ত। যেই । কেমনে আপরে আর বরিবেক সেই ? তাহে চণ্ডদেব রায়, তাহে চণ্ডদেব রায় । দ্বিতীয় প্রচণ্ড চণ্ড মাৰ্ত্তণ্ডের প্রায় । একে অযশ সমূহ, একে অযশ সমূহ । প্রবল প্রচণ্ড তাহে, তার সেনাব্যুহ। হবে অন্যায় সমর, হবে অন্যায় সমর । বিগ্ৰহ তাহার সহ নহে শোভাকর। মনে দেখহ বিচারি, মনে দেখহ বিচারি। রাজপুত মাত্রে হবে তার সহকারী। যথ। ধৰ্ম্ম তথ। জয়, যথা ধৰ্ম্ম তথা জয় । বুধ, বিধি, বেদবর্গ, এক বাক্যে কয়।” শুনি পিতার বচন, শুনি পিতার বচন । কৰ্ম্মদেবী মৌন-মুখে রন কিছুক্ষণ। যথা ধারাপাতকালে, যথ ধারাপাতকালে । কেতকী কলিকা মুগ্ধ থাকে পুষ্পজালে। হলে মেঘের অত্যয়, হলে মেঘের অত্যয় । তখন প্রকাশ করে আপন হৃদয় । তার সৌরভ-সুধায়, তাঁর সৌরভ-সুধায় । মত্ত হয়ে মারুত অস্তরে উক্ৰত ধায় । সেইরূপ ভূপসুতা, সেইরূপ ভূপসুত । ক্ষণ পরে করিছেন কথা সুধাযুত । “নিবেদনশীচরণে, নিবেদন শ্রীচরণে। মাগুণে শতিং দেহি, দাসীর বচনে। কথা বেদের বিহিতা, কথ৷ বেদের বিহিত । অন্য বরে অবিহিত ধরিতা হিতা । কিন্তু এই বিধি কাল, কিন্তু এই বিধি কাল । অবাধে চলিত কভু নহে সৰ্বকাল। কত পতিৰুতা সতী, কত পতিব্ৰতা সতী । একে দত্তা পরে, পরে বরে অন্য পতি।