পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুরস্কন্দরী দেহ ভাবরূপিণি গো ! লেখনীতে বল । এইমাত্র অশি মম কর গে। সফল || স্বদেশীয় সতীগণ অবলা অর্থলা । জ্ঞানবলে বদ্ধিবলে কর গো সবলা । ছল বল কৌশলের কতই বিস্তার। দুরস্তের হাতে নাহি তাদের নিস্তার। এইমাত্র কর, শূরসুন্দরীর মত। দুষ্টদল অভিসন্ধি করিয়া বিহত। গৃহমেধি ফলদাত্রী হউন সকলে । ভারতে ভাবিনী ধন্য লোকে যেন বলে । সূচনা একদিন কৰ্ম্মদেবী কথা সাঙ্গ পরে । কহেন দ্বিজেন্দ্র কবি, পথিক প্রবরে। “মহারাণী লিখেছেন, শুন মহাশয়। যাইতে উদয়পুরে যদি ইচছা হয়। তব আগমন আর বিনোদ উদ্দেশ । লোকমুখে হইলেন বিদিত বিশেষ। দেখিবে সে রাজধানী আতি মনোহর । পেশলা নামেতে যথা রম্য সরোবর । গিরিকুটে উচচতর প্রাসাদ-নিকর । চারু শূেত উপলেতে গ্রথিত বিস্তর । কি বণিব ত্রিপোলিয়া শোভন তোরণ। বাদল মহলপুরী পরশে গগন । যত্র শাহাজাহা খ্যাতি লভি মহাবীর । ধরাধীশ-পদপ্রাপ্ত গতে * জাহাগীর । শ্ৰীসূৰ্য্য-মহলে বার দেন মহারাণী । বিচিত্র বিভব তথা নিরখিবে নানা । অপরূপ কেলিগৃহ জগৎমন্দির। চারিধারে বহে চারু সরসীর নীর। প্রস্ফুটিত সহস্ৰ সহ শতদল। কনকপরাগে জল বহে ঢল ঢল। • কথিত আছে, উদয়পুরে মহারাণার বাদাল-মহলে আর্থিত্য-গ্ৰহণ-করণ-কালে যুবরাজ খুরম পিতৃবিয়োগ সমাচার প্রাপ্ত হওয়ানান্তে শাহজাহা নাম ধারণ পূর্বক প্রথমাভিষিক্ত হন। 8లి পবন-মোদিত হয়ে তার পরিমলে । ধীরে ধীরে ফিরে সেই বিচিত্র মহলে। যথা নির্বাসনে ছিল আকবরস্থত । মহারাণ প্তেম-গুণে হয়ে হর্ষযুত । চল চল চল হে পথিক গুণাকর । দেখিবে উদয়পুর নগর সুন্দর। আর তব উদ্দেশ ফলিবে বহুমত। শুনিতে পাইবে সত্য ইতিহাস কত ॥” পথিক কছেন, “যদি এইরূপ ঘটে । অবশ্য উদয়পুরে যাব যোগ্য বটে। আপনি যদ্যপি যান তবে করি গতি । নয়ন সাথক করি হেরি হিন্দুপতি। জানিলাম এইবারে সিদ্ধ, মনোরথ । কৃতাৰ্থ হইবে আসা এই দূরপথ।” এইরূপে দুই জন কথা স্থির করি । প ফুল্ল হৃদয়ে চলে উদয়-নগরী । বিগত পথের শম বিবিধ কথায় । কত দিনে উপনীত হইল তথায় । বিহিত আদরে রাণা তুষিলা দোহারে। নিত্য নিত্য নব কথা হয় দরবারে । রাণাকুলকাণ্ড কথা গাথা গ্ৰন্থ কত। গ.স্থাগারে পথিক দেখেন শত শত।। হেমন্ত একদা এক পত্র পাঠ করে । জিজ্ঞাসা করেন পিয় বন্ধু দ্বিজবরে। “কহ কবি এ পত্রের মৰ্ম্ম সুবিস্তার। কেব। এই পৃথীসিংহ কবি গুণধার। লিখেছেন মহারাণা পতাপ-নিকটে। কাহারও নিস্তার নাই নেীরোজা-সঙ্কটে। কিবা এ নৌরোজা কাণ্ড বুঝিতে না পারি কহ কহ অনুগ্রহে বিশেষ বিস্তারি । অচিরপ্তভার পায় দীর্ঘ বিভাবী। বিগত হইবে সুখে দীপ্তি দান করি।” শুনিয়ে কবীন্দ্র অরিম্ভিলা ইতিহাস । শারঙ্গে শারদ। আসি হইলা পৃ কাশ। নাচিতে লাগিলা যত রাগিণীর সঙ্গে । স্বজিল মুরস রঙ্গ গানের পূ সঙ্গে ।