পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भूद्र-श्नब्रेौ শিরে ধরে জটাভার ধরণীচুম্বিত । পরিহিত মৃগচৰ্ম্ম আজানুলম্বিত। ভস্ম-বিভূষিতকায় তুষার-বরণ। প্রচুর রুদ্রক্ষিমালা কণেঠ আভরণ । ললাটে ত্রিশূল-চিহ্ন লোহিতচন্দনে । মুখে ধ্রুবপদ গীত ত্র্যম্বক-বদনে । করেতে ত্রিতন্ত্রী বীণা বিনোদ বাঙ্কার । নানা সন্ধ্যা রাগিণীর হয় অবতার । অপরূপ ছদ্মবেশ বলিহারি যাই । সাজিল মোগল ভাল গুণের গোঁসাই । কে বলিতে পারে তারে যবনাধিপতি । মহেশস্বরূপ মনোহর সে মূরতি।। দেবানী খাসেতে শাহ যায় ধীরে ধীরে । -খে শিবরব হৃদে ধিয়ায় সতীরে। হেথা শুন সমাচার পূধান। মহিষী ৷ রূপে গুণে যোধাবাই কমলাসদৃশী । পিতা ভ্রাতা ধনলোভে মোগলে আপিতা । কিন্তু রাজপুত-কুল-দৰ্পেতে দপিতা । বিবিধ সন্ধানে জানি শাহের ছলনা। সতীর সতীত্ব রক্ষা চিস্তিল ললন । বড় বড় ক্ষত্রিস্থতা দিল্লীশূরে ডালী । কোনরূপে রণাকুলে নাহি পড়ে কালি । বিশেষে রমণী মারে তাভিমান রাজা । রূপগৰ্ব্ব সিন্দূরেতে মন-মণি মাজ । মনে ভাবে সতী পেয়ে মত্ত হবে শাহ । তার প্রতি ধাইবেক প্রণয়-প্রবাহ। আমার প্রভুত্ব আর থাকা হবে ভার । জাতি দিয়ে লাভ মাত্র কুলের খাকার। এই বেলা করি তার উপায় চিন্তন । বিষ-বল্লী অঙ্কুরে উচিত নিকৃন্তন । শুনিতে পাইল শাহ যোগিবেশ ধরে । আপনি যোগিনী-বেশ পরিধান করে । পরিহরি পেশোয়াজ রক্তপট শাটী । পরিল প্রমদ। তাহে শোভা পরিপাটী। ত্যজি মৃগমদ-মিশ অগুরুচন্দন । মুখেতে ধরিল ধনী বিভূতি-ভূষণ। আলুয়েল চারু বেণী লোটাইল ধর । মণিময় অলঙ্কার ত্যজে মনোহর । এক কর-কমলেতে ত্রিশূল বিরাজে । অন্য করে জপমালা অপরূপ সাজে । সহচরীগণ ধরে সেইরূপ বেশ । দেবানী-খাসেতে আসি করিল প্রবেশ । দেখে শাহ বসিয়াছে এক তরুতলে । বেরি তারে দfড়ায়েছে নারী দলে দলে । কোন রামা দেখাইছে আপনার কর । কর ধরি ভূত ভাবী কহে যোগিবর । কারে বলে অচিরে হইবে পুত্রবতী । কারে বলে প্রবাসে রয়েছে তব পতি । ত্বরায় আসিতে পারে যদি ইচছা করে । কিন্তু পড়িযাছে বাধা পপৰ্কীয়াকরে । কাপে বলে পতির সোহাগ তুমি চাহ । পরে হবে তপ ধন, তাহে সঙ্গ দাঙ্গ । পতিরে ফিলাতে যদি থাকে পূগে! দান । সন্ন্যাসীরে দেহ কিছু পূজা আয়োজন । দিল্লীতে অধিক কাল আমি না লভিব । আমার কুটীরে যেও ঔষধ কহিব।। কারে কহে তোমার সতীনে বড় দোষ । কিন্তু যদি কথা শুন খণ্ডিবেক দোঘ । নিত্য নব নব বেশ করিয়া ধারণ । করিবে পদোষে ছাদে চরণ-চারণ। সে ভাব দেখিয়া যদি কাস্ত কাছে আসে । দ্বাররোধ করিবে তখনি নিজবাসে । জনমিয়া দিবা দ্বৈধী তাহার অস্তরে । দেখিবে কদিন তার অবহেলা করে । নিকটে আইলে মুখে মানাম্বর ডাকি। না করিও ত্বরা তাঁর সহ তাকাতকি । হইলে বিহিত মম রোদন করিয়া । আদায় লইবা বাকী শবণে ধরিয়া । এইরূপ নানারূপ গণন গার্থনা । হাস্য-পরিহাসে রত যত নারীগণ । দূরেতে দাঁড়ায়ে সতী দেখেন কৌতুক । ব্ৰীড়ানমমুখী পুণি করে ঘুক ধুক । জায়ে কন, “চল দিদি গৃহে ফিরে যাই । এখানে বিলম্বে আর কার্য্য কোন নাই । বলেছিলে পুরুষ-নিষিদ্ধ এই স্থান । তবে কেন এ সন্ন্যাসী হেরি বিদ্যমান।