পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুর-সুন্দরী মিথ্যাদৃষ্টি মহিলা তাহার প্রমোদিনী । মানস প্রমোদ বনে প্রমে প্রমোদিনী । কুস্বপুে দেখিছে পৃথ্বী মহা পারাবার। প্রবল পবনে তরঙ্গিত অনিবার। তরঙ্গ-তুফানে এক তরণী চঞ্চল। টলটল শতদলদলে যেন জল । কখন আকাশমার্গে উঠিছে হেলন । কখন পাতালে যেন করিছে গমন । ভেঙ্গে পড়ে গুণবৃক্ষ কাণ্ডারী বিকল। আতঙ্কে দাড়ায়ে কাপে আরোহী সকল । তার মাঝে এক নারী রোদল-বদলে । গগনের প্রতি দৃষ্টি উন্নত নয়নে । ছিনু ভিন অলকা উড়িছে সমীরণে । ক্ষণে ক্ষণে দৃশ্য ক্ষণপ্রভার কিরণে। তাইল প্রবল বাত্য কুলিশ-কল্লোলে। ভগুতরী মগু করে সাগর-হিল্লোলে । তরঙ্গে বনিতা সেই হয়ে নিপতিতা । কৰ্ভু নিমজ্বজিত হয় কভু সমুথিত । দেখে পৃথ্বী সেই নাকী আর কেহ নয় । পণিপিয়া সতী সিন্ধুগর্তে পায় লয়। জাগিয়া উঠিল কলি বলি সতী সতী । দেখিল গৃহেতে নাই জীয়া গুণবতী । মনোদুঃখে বসি তথা ভাবে পুনর্বার। এখনো এল না কেন পেয়সী তামার II না জানি কি অমঙ্গল ঘটিল তাহার । ছাঁরখীরে যাক ছাঁর নৌরোজ বাজার । কেন তথ। যাইবারে দিলাম বিদায় । । এখন ভাবিয়া মরি প্রমদার দায়। দাসীরে ডাকিয়া পৃথ্বী জিজ্ঞাসে সঘনে । 'ভ্ৰাতৃবধূ এসেছেন ফিরে কি ভবনে ৷” দাসী কয়, “মহাশয় অনাগত তিনি । ন। জানি বিলম্ব কেন করেন ভত্ৰিণী ।” পুনরায় ভাবনায় তন্দ্রার তুহিন । भूमिउ रूब्रिज उांद्रे नग्रगनजिन । । পুনরায় কুস্বপন করে নিরীক্ষণ । যেন সুবিস্তীর্ণ এক নিবিড় কানন । । দাবানলে প্রজুলিত তার চারিধার। নানা জাতি জীব জন্তু করে হাহাকার । ఫి J& তার মাঝে গরজে তরঙ্গ ভয়ঙ্কর । সহস্র ফণায় ক্ষরে বিষ বৈশুনির । তার পুরোভাগে এক পলায় রমণী । ঘনবেগে পশচাতে ধাইছে সেই ফণী । শিহরিতা সরাঙ্গনা চেতন-রহিতা । নিপতিতা ধরায় হইল বিমোহিত । দেখে পৃথ্বী সেই নারী আর কেহ নয়। ভোগিভয়ে ভাৰ্য্যা সতী ভ্রান্তমতি হয় । জাগিয়ে উঠিল কবি বলি সতী সতী । দেখিল গৃহেতে নাই জীয়া গুণবতী । বলে হায় এ কি দায় ঘটিল আমায় । ভাবিয়ে চিস্তিয়ে কিছু না পাই উপায়। একবার ভাবে মনে যাই অনুেঘণে । কখন হইবে দেখা পেয়সীর সনে । আরবীর ভাবে তাহে হইবে কি ফল । সুমুপ্তির ক্রোড়ে নীত মনুষ্য-মণ্ডল । কেহ নাহে জাগরিত এমন সময় । হতভাগ্য আমি ভিন্ন কেহ দুঃখী নয় । জিজ্ঞাসিব এখন কাহারে সমাচার । বাদৃশার মহলেতে পড়িয়াছে দ্বার। ভাবিতে ভাবিতে পুনঃ লাগিল নিদালী । পুনরায় হৃদে বহে কুস্বপু-প্ৰণালী । দেখে এক অতি উচচতক গিরিবর। পরশিছে তুঙ্গ শৃঙ্গ নীবদ নিকর। কন্দরে ভ্ৰমিছে এক ভীষণ শাৰ্দ্দল । ঘন ঘন ধরাপ ষ্ঠে তাছাড়ে লাঙ্গুল । নবীন ললনা এক দূরেতে পলায়। বহে সোতস্বতী সেই গিরির তলায় । পলাইতে প্রমদা পতিত ভৃগুদেশে । অধোভাগে ঘোর বেগে পড়ে মুক্তকেশে।। দেখে পৃথ্বী সেই নারী তার কেহ নয়। প্ৰাণপিয়া সতী সে তিস্বতী-গত হয় । জাগিবে উঠিল কবি বলি সতী সতী । দেখে গৃহে দাড়াইয়ে জীয়া গুণবতী । বিভাবীশেষে সত। আসিয়া উদয় । নিরখিয়ে কবিবর চঞ্চল হৃদয় । কহে “প্ৰাণপিয়ে সতি কহ বিবরণ। কোথায় করিলে এত যামিনী-যাপন ।