পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b- রজতগিরি-নন্দিনী । বন আমোদিত করেচে। মাধবীলতার রূপে মুগ্ধ হয়ে মধুপেরা তার চতুদিকে বেষ্টন করতঃ গুণ গুণ শব্দ কচ্চে । অণর নানাজাতি বুক্ষের শাখায় বসিয়া বিবিধ বর্ণের বিহঙ্গের কলরব কচ্চে । এবং মলয় মৰুত পুষ্প সৌরভে ভারাক্রান্ত হয়ে বনমধ্যে ইতস্ততঃ বিহার কচেচ । সরোবরেরি বা কি অপরূপ শোভা দেখচি হৃদয়ে কমল বন, আর প্রফুল্ল কমলে এমনি জলের শোভা হয়েচে যেন শ্বেত গঙ্গার আবির্ভাব হয়েচে । জলেরি বা কি কমনীয় হিল্লোল । তায় দিবাকরের কিরণ লেগে যেন রাশি রাশি হীরা জ্বলচে ও মুক্তালতা ভেসে যাচ্চে পদ্মগন্ধে আমার মন মোহিত হলো । হে জগদীশ ! তোমার কীর্তি অনিৰ্ব্বচনীয় ; ও তাহার কীৰ্ত্তন করা অসাধ্য ! ইচ্ছা হয় যে এই প্রাচীন বটবৃক্ষমূলে বসিয়া সুবাসিত শীতল বায়ু সেবন করি । এ কে আস্চে ?—ব্যাধ নাকি ? দূর হউক ! অযাত্ৰ ! [ প্রস্থান। সুধ ! এ কে গেল ?—বোধ হয় সেই সন্ন্যাসী হ’বেন । এমন বনের শোভা আর কখনো দেখি নাই ! পদ্মফুল গুলি ফুটে যেন আলো করেচে। আহা কি বাস ! এই গাছ তলায় শুয়ে যুমুই নে কেন ? বেশ শীতল বাতাস বচ্চে । আহা ! এ সময় যদি কাঞ্চনী কাছে থাকৃতো, তবে স্বগের সুখভোগ কত্তেম্ (বৃক্ষমূলে শয়নপূর্বক নিদ্রা । )