পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রজতগিরি-নন্দিনী । 8 כי সৰ্ব্বদা এদিক ওদিক বেড়ালে আচার বিচার ও সন্ত্রম থাকে না । এটা দেশেরও অনিষ্ট । তা কেন—তোমার আপনাতেই দেখ না । বামা । আপনাতে কি দেখবো ? অনা । এদিকে তিলকসেরা কর, বল বৈষ্ণবী, ভায় বিধবা, নিরামিষ খেতে । অtবার না কি তাও এখন ছেড়েচ ? বাম । রাধেরুষঃ ! যে বলে তার মুখে মুড়ে জ্বেলে দি– চিরদিন হবিষ্যি কোরে এখন শেষ কালে কি অমিষ খাবো ? তবে বড় চিংড়ি পেলে খেয়ে থাকি বটে । হাতে হরিনামের মালা আছে মিছে বোলবো না । অনা । সেটা কি তবে ? বামা । কেন—তাতে কি অঁাষ আছে ? যাতে অঁাষ, নেই সেটা মাছের মধ্যেই নয়। তুমিতে অনেক শাস্ত্র পড়েচ, জ্যোতিষ দেখেচ, বল দেখি, যাতে আঁষি নেই সেটা আমিষ হতে পারে কি না ? অনা । তাতো বটেই । বেশ বার করেচ ! তাইতো বলচি এখনকার বিধবারা যা খায়, সধবারা তা চোকেও দেখতে পায় না। প্রাচীনকালে বিধবারা শয্যায় শয়ন কতো না, ধরাশয়নে থাকৃতো, মাথায় চুল রাখতে না । একণহারী, হবিষাশী, এবং তেজস্কর দ্রব্য মাত্রই আহার ছিল না, অর্থাৎ যাতে আত্মমুখ জন্মে বা মনের প্রফুল্লতা হয়, তার লেশমাত্র জামৃতো না ; এখন প্রায় তা নেই । সুভোজন ও উত্তম পরিধান ও কোমলশয্যা,–এই তিনটী অাগে, তার পর কখন কখন কবরীতে সুগন্ধী কুসুমমালা