পাতা:রজতগিরি-নন্দিনী.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

이o রজতগিরি-নন্দিনী । যুব । তাপস ! আমি আপনাকে অভিবাদন করি ; আমি পিঙ্গলদেশের যুবরাজ । উদয়শীল দিবাকরের ন্যায় ঐ রাজ্য দেদীপ্যমান, ইহা জগতে অবিদিত নাই । পিতা যৌবনাশ্ব মহারাজ, আমার মহিষী রজতগিরি-রাজনন্দিনীকে ভ্রমবশতঃ বনবাস দিয়াছেন ; আমি সে সময় দিগন্তরে যুদ্ধে নিযুক্ত ছিলাম, রাজ্যে আসিয়া এই হৃদয়-বিদারক সংবাদ শুনিলাম, পরে মহিষীর অন্বেষণে যাত্রা করিয়া রজতগিরিঅভিমুখে গমন করিতেছি। সম্মুখে এই মনোহর বন ও কমল-সরোবর, ও তাহার অনতিদূরে আপনকার আশ্রম দেখিয়া বিশ্রাম জন্য অাসিতেছি । পরিত্রা । বৎস, তুমি সীতাপতির ন্যায় কৃতকাৰ্য্য হও । তত্ৰণচ রজতগিরিপূর অত্যন্ত দুর্গম স্থান, ও প্রায় দেবগণেরও ‘ठtउन] । যুব । বাবা পরিত্রাজক, রজতগিরির জ-বালাকে এ বনে দেখিয়াছেন কি না তাহ বলুন । - পরিত্রা । অত্যপ দিন হইল অলৌকিক রূপযেীবনসম্পন্ন ও রত্ন ভরণে ভূষিতা এক রাজকন্যা এই বনে একাকিনী ভ্রমণ করিতেছিলেন ; তিনি রজতগিরি-রাজনন্দিনী বলিয়া আপনার পরিচয় দেন, ও অশ্রুপূর্ণনয়নে আমাকে কহিলেন, যে যৈীবনাশ্ব রাজা তাহীকে নির্বাসিত করিয়াছেন। ইহা বলিয়া স্বশমি-বিচ্ছেদহেতু বহু বিলাপ করিলেন । আমি তাহাকে সান্তুনা করিয়া তাহার পিতৃরাজ্যে গমন করিতে উপদেশ দিলাম । পরিরাজকুমারী দেবযোনি বিশেষ, ও পূর্বপরাক্রমে শূন্যপথে গমন করিলেন ।