লবঙ্গলতার কথা । ১se নিই এই বিপত্তি উপস্থিত করিয়াটি তখন মনে জানিতাম ৰে রজনীকে নিশ্চয়ই পুত্রবধূ করিব। তখন কে জানে যে কাণ ফুলওয়ালীও দুর্লভ হইবে ? কে জানে যে সন্ন্যাসীর মন্ত্রেীষণে হিতে বিপরীত হইবে ? স্ত্রীলোকের বুদ্ধি অতিক্ষুদ্র তাহ জানি তাম না ; আপনার বুদ্ধির অহঙ্কারে আপনি মজিলাম। আমার এমন বুদ্ধি হইবার আগে, আমি মরিলাম না কেন ? এখন ইচ্ছা হইতেছে মরি, কিন্তু শচীন্ত্রবাবুর আরোগ্য না দেধিস্থ মরিতে পারিতেছি না। কিছুদিন পরে কোথা হইতে সেই পূৰ্ব্বপরিচিত সন্ন্যাসী আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি বলিলেন,তিনি শচীন্ত্রের পীড়া শুনিয়া দেখিতে আসিয়াছেন। কে তাহাকে শচীন্ত্রের পীড়ার সম্বাদ দিল তাছা কিছু বলিলেন না। 3 * শচীন্ত্রের পড়ার বৃত্তান্ত আপোন্ত শুনিলেন। পট শচীন্দ্ৰেয় কাছে বসিয়া নানাপ্রকার কথোপকথন করিতে লাগিলেন । তৎপরে প্রণাম করিবার জন্য তামি তাহাকে ডাকিয়া পাঠাইলাম। প্রণাম করিয়া, মঙ্গল জিজ্ঞাসার পর বলিলাম, “ মহাশয় সৰ্ব্বঞ্জ ; না জানেন, এমন তত্ত্বই নাই। শচী, ভুেব কি য়োগ, আপনি অবশ্য জানেন ।” তিনি বলিলেন, “উহা বায়ুরোগ। অতি দুশ্চিকিৎস্য।” আমি বলিলাম, " তবে শচীন্দ্ৰ সৰ্ব্বদা রজনীর নাম করে কেন ?" সন্ন্যাসী বলিলেন, “ তুমি বালিকা, বুঝিবে কি ?” (কি সৰ্ব্বনাশ, আমি বালিকা। আমি শচীর মা !) “ এই রোগের এক গতি এই যে, হৃদয়স্থ লুক্কারিত এবং অপরিচিত ভাব বঃ ് সকল প্রকাশিত হইয় পড়ে, এবং অত্যন্ত ৰণবাণীইইঃ
পাতা:রজনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।