( ১১৬ ) তৃতীয় পরিচ্ছেদ। পরদিন, আবার মিত্রদিগের আলয়ে গিয়া দেখা দিলাম। লবঙ্গলতাকে বলিয়া পাঠাইলাম, যে আমি কলিকাতা ত্যাগ করিয়া যাইব । এক্ষণে সম্প্রতি প্রত্যাগমন করিব না—তিনি আমার শিষ্য, আমি তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিব। লবঙ্গলন্ত আমার সহিত, পুনশ্চ সাক্ষাৎ করিল। আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “ আমি কালি যাহা শচীন্দ্রকে বলির গিয়াছি, তাহ শুনিয়াছ কি ?” ল। শুনিয়াছি। তুমি অদ্বিতীর। আমাকে ক্ষমা করিও ; আমি তোমার গুণ জানিতাম না । আমি নীরব হইয়া রহিলাম। তখন অবসর পাইয়। লবঙ্গলত জিজ্ঞাসা করিল, “ তুমি আমার সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা করিয়াছ কেন ? ভূমি নাকি কলিকাতা হইতে উঠিয়া যাইতেছ?” অ ! যাইব । ল। কেন ? অ। যাইব না কেন ? আমাকে যাইতে বারণ করিবার ত A কেহ নাই। ল। যদি আমি বারণ করি ? অ ! আমি তোমার কে যে বারণ করিবে ? ল। তুমি আমার কে ? তা ত জানি না। এ পৃথিবীতে ভূমি আমার কেহ নও । কিন্তু যদি লোকান্তর থাকে— , লবঙ্গলন্ত আর কিছু বলিল না। আমি ক্ষণেক অপেক্ষ । रुग्नि, दणिणाम, ** |
পাতা:রজনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।