রঙ্গনীর কথা । २१ হীরালালের মন্দ চরিত্রের কথা তখন আমি কিছুই জানিउाम न । সেজন্য আপত্তি করি নাই। সে যুবপুরুষ— আমি যুবতী—তাহার সঙ্গে কি প্রকারে এক যাইব ? এই আপত্ত্বি, কিন্তু তখন আমার কথা কে গুনে ? আমি অন্ধ, পথ পরিচিত, রাত্রে "আসিয়াছি—সুতরাং পথে যে সকল শদ্বঘটিত চিহ্ন চিনিয়া রাখিয়া আসিয়া থাকি, সে সকল কিছু শুনিতে পাই নাই—অতএব বিনাসহারে বাড়ী ফিরিরা যাইতে পারিলাম ন!—বাড়ী ফিরিয়া গেলেও সেই পাপ বিবাহ । অগত্য হীরালালের সঙ্গে যাইতে হইল। তখন মনে হইল— আর কেহ অন্ধের সহার থাক না থাক—মাথার উপর দেক্সতঁ আছেন ; তাহার কখনও লবঙ্গলতার ন্যার, পীড়িতকে "ড়ন কfরবেন না ; তাহদের দয়া আছে, শক্তি আছে, অবশ্য,দ্বন্ধ করিয়া আমাকে রক্ষা করিবেন—নfহলে দয়া কার জন্য ? তখন জানিতাম না যে ঐশিক নিয়ম বিচিত্র—মমুষ্যের বুদ্ধির অতীত—আমরা যাহাকে দয়া বলি, ঈশ্বরের অনন্ত জ্ঞানের কাছে তাহু! দয়া নহে—আমরা যাহাকে পীড়ন বলি– ঈশ্বরের অনস্ত জ্ঞানের কাছে তাহা পীড়ন নহে। তখন জালিতাম না ষে এই সংসারের মনস্ত চক্র দরদীক্ষিণ শূন্য, সে চক্র নিয়মিত পথে )ே: व्झद्भश् छलेिरङएझ, उांझांब्र দারুণ বেগের পথে যে পড়িযে—অন্ধ হউক, খঞ্জ হউক, আৰ্ত্ত হউক, সেই পিষিয়া যরিবে। আমি অন্ধ নিঃসহার বলিরা, অনন্ত সংসারচক্র পথ ছাড়িয়া চলিবে কেন ? হীরালালের সঙ্গে প্রশস্ত রাজপথে বাহির হইলায়— ড়োহু'র পত্নশৰ অমুসরণ করিয়া চলিলাম—কোথাকার ঘড়িতে ধর্কট বাজিল , পথে কেহ নাই—কোথাও শব্দ নাই—দুই’ একখানা গাড়িয় শঙ্ক-দুই একজন সৱ বুদ্ধি কামিস্ট্র}
পাতা:রজনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।