*ථි දෑ ब्रछनैौ । হীরালাল বলিল, “ আপনার পথ আপৰি দেখ।” মাধির নৌকা খুলিতে লাগিল—দাড়ের শস্ব শুনিলাম। আমি তখন काङग्न श्हेब्रा বলিলাম, “ তোমায় পাড়ে পড়ি ! আমি অন্ধ— যদি একান্তই আমাকে ফেলিয়া যাইবে, তবে কাহারও বাড়ী পৰ্য্যন্ত আমাকে রাখিয়া দিয়া যাও। আমি ত এখানে আসি নাই-এখানকার পথ চিনিব কি প্রকারে ?” - “হীরালাল বলিল, “ আমাকে বিবাহ করিতে সম্মত আছ ?” 躯 - আমার কারা আসিল । ক্ষণেক রোদন করিলাম ; রাগে 하 ক বলিলাম, “ তুমি যাও, তোমার কাছে কোন উপনাই—রাত্রি প্রতাত হইলে তোমার অপেক্ষা দয়ালু শত শত লোকের সাক্ষাৎ পাইব। তাহারা অন্ধের প্রতি তোমার অপেক্ষ দরা করিবে ।” হী । দেখা পেলে ত ? এ যে চড়া ! চারিদিকে জল । অীমাকে বিবাহ করিবে ? হীরালালের নীেক তখন কিছু বাহিরে গিয়াছিল। শ্রবণশক্তি আমার জীবনাবলম্বন—শ্রবণেই আমার চক্ষের কাজ করে। কেহ কথা কহিলে-কত দূরে, কোন দিকে কথা কহিতেছে তাহা অস্বভব করিতে শুরি ; হীরালাল কোন দিকে, কতদূরে খাকিয়া কথা কহিল, তাহা মনে মনে অমৃতব করিয়া, জলে নামিয়া সেই দিকে ছুটিলাম—ইচ্ছা নৌকা ধরিব। গলাজল অবধি নামিলাম। নৌকা পাইলাম না। নৌকা আরও বেশী জলে। নৌকা ধরিতে গেলে ডুবিয়া মরিব । তালের লাঠি তখনও হাতে ছিল। আবার ঠিক করিয়া, শামুভব করিয়া বুঝিলাম হীরালাল এই দিকে, এত দূৰ । ছত্তি কথা কহিতেছে। পিছু ছটিয়া, কোমরঙ্গলে উঠিয়া,
পাতা:রজনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।