অমরমাথের কথা । Nసి অত্যাচারঘটিত অনেক গুলিন গল্প বলিলেন—দুই একটা বা সত্য, দুই একটা বক্তাদিগের কপোলকল্পিত। গোবিনীকান্ত বাবু একটি গল্প বলিলেন, তাহার সার মৰ্ম্ম এই। “ হরেকৃষ্ণদাস নামে আমাদিগের গ্রামে একঘর দরিদ্র কুয়েন্থ ছিল। তাছার একটি কন্যা ভিন্ন অন্ত সন্তান ছিল না। ੋੜ গৃহিণীর মৃত্যু হইয়াছিল, এবং সে নিজেও রুগ্ন। এজন্ত সে কস্তাটি আপন শ্যালীপতিকে প্রতিপালন করিতে দিয়াছিল। তাহার কস্তাটির কতকগুলিন স্বর্ণালঙ্কায় ছিল । লোভবশতঃ তাহা সে শ্যালীপতিকে দেয় নাই। কিন্তু যখন মৃত্যু-উপস্থিত দেখিল, তখন সেই অলঙ্কার গুলি সে আমাকে ডাকিয়া ಇyಣ কাছে রাখিল—বলিল যে ‘আমার কন্যার জ্ঞান হইলে তাঁহাকে দিবেন—এখন দিলে রাজচন্ত্র ইহা আত্মসাৎ করিবে:yo স্বীকৃত হইলাম। পরে হরেকৃষ্ণের মৃত্যু হইলে সে লাওয়ারেশ মরিয়াছে বলিয়, নদী ভৃঙ্গ সঙ্গে দেবাদিদেব মহাদেব দারো মহাশয় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। হরেকৃষ্ণের ঘটী বাটী * টুকনি লাওয়ারেশ মাল বলিয়া হস্তগত করিলেন । কেহ কৈহ বলিল, যে হরেকৃষ্ণ লাওরারেশ নহে--কলিকাতায় তাহায় কন্তু, আছে। দারোগামহাশর, তাহাকে কটু বলিয়া, আজ্ঞা করিলেন, ওয়ারেশ থাকে হজুরে হাজির হইবে। তখন, আমার দুই একজন শক্র স্বযোগ মনে করিয়া বলিয়া দিল, যে গোবিন্দত্তের কাছে ইহায় স্বর্ণালঙ্কার আছে। আমাকে তলব হইল। আমি তখন দেবাদিদেবের কাছে আসিয়া যুক্ত করে দাড়াইলাম। কিছু গালি থাইলাম। আসামীর শ্রেণীতে চালান হইবার গতিক দেখিলাম। বলিব কি? ঘুম্বায়ুধির উদ্যোগ দেখিয়া অঙ্কীরগুলি সকল দারোগামহাশয়ের পাদপদ্মে ঢালিয়া দিলাম ; তাহার উপর পঞ্চাশ টা নগদ দিয়া নিষ্কৃতি পাইলাম।
পাতা:রজনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।