অমরনাথের কথা । তাহাতে নছি। আমি একদা কোন বন্ধুকে একটি মহাসভার ঐরুপ একখানি আবেদন পড়িতে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম যে কি পড়িতেছ? তিনি যলিলেন, “ এমন কিছু না, কেবল কাণ ফুকির তিক মাঙ্গে।” এ সকল, আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে তাই—কেবল " কাণ ফকির ভিক মাহেরে বাবা।” এই রোগের আর এক প্রকার বিকার আছে। বিধবার বিবাহ দাও, কুলীন ব্রাহ্মণের বিবাহ বন্ধ কর, অল্প বরসে বিরহ বন্ধ কর, জাতি উঠাইয়া দেও, স্ত্রীলোকগণ এক্ষণে গোরুর গোহালে বাধা থাকে, দড়ি খুলির তাহাদিগকে နိူင္ဆိုႏိုင္ငံ চরিয়া খাকৃ। আমার গোরু নাই ; পরের গোহীলের ਸ੍ਵਾਂ আনার বিশেষ সম্বন্ধ নাই। জাতি উঠাইতে আমি বড়,রাজি নহি, আমি তত দূর আজিও স্বশিক্ষিত হই নাই। আমি এখনও আমার ঝাড়ুদারের সঙ্গে একত্রে বসিয়া থাইতে অনিচ্ছুক, তাহার কন্যা বিবাহ করিতে অনিচ্ছুক, এবং যে গালি শিরোমণুি মহাশর দিলে নিঃশন্ধে সহিব, ঝাড়ুদারের কাছে তাহ ಗ್ದ! অনিচ্ছুক। সুতরাং আমার জাতি থাকুক। বিধবাবিবাহ করে করুক, ছেলে পুলের আইবুড় থাকে থাকুক, কুলীন ব্ৰাহ্মণ একপত্নীর যন্ত্রণায় খুদী হয় হউক, আমার আপত্তি নাই ; কিন্তু তাহার পোষকতার লোকের কি হিত হইবে, তাহ। আমার বুদ্ধির অতীত। সুতরাং এ বঙ্গসমাজে আমার কোন কার্য নাই। এখানে Aীম কেহ নছি—আমি কোথাও নহি । আমি, আমি, এই পর্যাস্ত, আর কিছু নহি । আমার সেই দুঃখ। আর কিছু দুঃখ নাই-লবঙ্গলতার হস্তলিপি ভুলিয়া যাইতেছি।
পাতা:রজনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।