পাতা:রত্নবেদিকা নাটক.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক । δ& বিশ্বাস । তোমার হেথায় কিসের কষ্ট, রাণী ত - তোমায় খুব যত্ন করেন কত ভাল বাসেন, অত উতলা সুম। রত্ন । হও কেন ? ওলো ! এ রাজ বাটি বটে—রাণীও আমাকে ষত্ব কচ্চেন সত্যি ! কিন্তু পিঞ্জরে থেকে কি পাখী কখন মুখী হয় ? মন বড়ই অধীর হয়ে উটেচে, আর ত স্থির থাকতে পারি না, উপায় কি করি বল। আমি কি আর আপন বাড়ী যেতে পাব না? আমি কি আর. বাবাকে দেখতে পাব না ? রাজ নন্দিনি ! অত অধীর ছলে চলবে কেন, অতি শীঘ্রই মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, তার জন্যে আর ভাবনা কি। ওলে মুমতি! তোর মুখে ফুল চন্দন পর্ভুক। এমন দিন কি আর হবে, বাবার সঙ্গে আবার দেখা হবে, আর কি পিতার সেই মধু মাখা কথা গুলি শুনতে পাব ? আর কি তিনি আমাকে “মা রত্নবেদি” বলে ডাকবেন ? তার মনোহর মূৰ্ত্তি খানি কি আর দেখতে পাব ? সুমতি ! কাল নিশি-শেষে নিদ্রাবস্থায় স্বপ্ন দেখিচি, পিতা যেন আমার সম্মুখে দাড়িয়ে বলচেন “ম রত্নবেদি ! আমি মানস-সরোবর মানসে কাল প্রাতে যাত্রা করবে।” এই কথায় আমি কঁদিতে লাগলুম্ ; আমার কান্না দেখে, বাবা তার সেই কোমল হাত দিয়ে আমার দাড়ি ধরে বলেন, “কান্না কেন মা” “তীর্থ দর্শন করে অতি শীঘ্রই আসবে। কান্না কি