পাতা:রত্নবেদিকা নাটক.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক । * 84 . বিলাসতুকের প্রবেশ । , বিলা। (ব্রাহ্মণের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া) মহারাজ! একি! (উচ্চৈঃস্বরে) ও ভট্টাচাৰ্য্য মশায় হয়েচে কি, ও হাতে গমৃচায় বাধা কি । ব্রাহ্মণ। আরে বাপু ! আজি মুখ দুৰ্দ্দান্ত মাতালদের হাতে পড়ে অপমানের এক শেষ হয়েচে । বাপু হে! প্রতি দিন যজমানের বাড়ী পূজা করে তত্ত্বলাদি ংগ্রহ দ্বারা পরিবার ও পুত্ৰগণের ভরণ পোষণ করে থাকি, বেলা দুই প্রহর অতীত হয়েচে, এখনও আহার হয় নাই, আছা বালকগণ ও ব্রাহ্মণী আমার মুখ প্রতীক্ষা করতেছে। আমি ঘরে গেলে পাক শাকের উদ্যোগ হবে। এক বিধবা কন্যা আছে। দোষের । মধ্যে তাকে সঙ্গে করে আজ যজমানের বাড়ী গিসূলুম। পথি মধ্যে এক দল ভয়ানক মাতাল এসে আমায় ধল্লে, আছা হা, কন্যাটি বড়ই ধৰ্ম্ম শীল, কি অপমান ! এখন তাকে ত ঘরে রেখে এসেচি, আর এই দেখ কি অবস্থা করেচে। (চিবুক প্রদর্শন এবং গাম্‌ছর গ্ৰছি খুলিয়া) দেখ হে বাপু দেখ, মহারাজ দেখুন, চারি পাঁচ সের তখুলের মধ্যে এই কটা পড়ে আছে। ব্যাটার ত আমাকে কামৃড়ে ছিড়েচে, তবু কন্যাকে বর্ণচয়ে নেগেছি, কিন্তু রাগের চোটে গামৃছ খানা ছিড়ে দিয়েচে, চাউল গুলো ফেলে দিয়েচে, উপকরণ গুলো সব খেয়ে ফেলেচে, কমলা লেবু গুলো