পাতা:রত্নবেদিকা নাটক.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3. রত্নবেদিক নাটক । বিমল লহরীতে অন্তর শীতল হচ্চে আজ এই উষাকালে উদ্যান মধ্যে এসে, লোচনানন্দ প্রদায়ি ও শ্রবণ সুখকর বিষয়ের আলাপে অন্তর কতই অনুপম মধুময় আনন্দ উপভোগ কুল্লে ! এই সুসময়ে সেই অখিল-পিতা, সমুহ-স্বভাব-শোভা-দাতা-বিধাতাকে মনের সহিত প্রেম-পুষ্প উপহার দিয়া জীবন সার্থক করি। ( নিমীলিত নয়নে ধ্যান ) হে সৰ্ব্বান্তর্ঘামি সৰ্ব্বেশ্বর ! এই প্রশান্ত প্রভাত সময়ে, নাথ ! এক বার আমার হৃদয় ধামে অধিষ্ঠান কর । হে মঙ্গল-ময়করুণা-নিলয় ! হে জীবনধার বিশ্ব-বিজয়ী-রাজেশ্বর! এ রমণীয় সময়ে তোমার প্রশান্ত মঙ্গল মূৰ্ত্তি এ মূঢ় তনয়ের নিকট প্রকাশ করিয়া অজ্ঞানান্ধকার দূর কর। ছে গতি নাথ ! তোমার ঐ যোগীন্দ্র মনঃ-সেবিত চরণে প্রীতি-রূপ পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করিতেছি, নাথ ! গ্রহণ কর। (নয়ন উন্মীলন করিয়া স্থিরভাবে অবস্থিতি ) যষ্ঠি হস্তে কুশসেনীর প্রবেশ । - রুশসেনী আজ এত প্রত্যুষে উঠেছ যে । কৃশ। নিশা শেষে হঠাৎ নিদ্রাভঙ্গ হওয়ায় এ প্রভাত সময়ে উদ্যানস্থ বিমল সমীর সেবন কত্তে এলাম । গজ । শরীর ত ভাল আছে ? - ক্লশ। কাল রাত্রে কাসূতে কাসতে একটু রক্ত দেখা দিয়ে ছিলো এখন ভাল আছি ।