৯২ রত্নাবলী নাটক । ৰাস।--(চুপি চুপি ) দেখ মহারাজ, আমার নিষ্ঠুরতার জন্য আমি অত্যন্ত লজ্জিত, এর বন্ধনটা শীঘ্র খুলে দেও। রাজা –(সপরিতোষে ) এখনি খুলে দিচ্চি। ( সাগরিকার বন্ধন মোচন ) বাস।-যৌগন্ধরায়ণই আমার এই সমস্ত নিষ্ঠুরতার মূল। কারণ, তিনি সমস্ত বৃত্তান্ত জেনেও আমাকে কিছু বলেন নি । যৌগন্ধরায়ণের প্রবেশ । যৌগ –(স্বগত) আমার বচন শুনি’ সাগরিকায় মহিষী দিলেন আশ্রয়, সপত্নীরে জুটাইয়৷ দেবীরে বিচ্ছেদ-কষ্ট দিলাম নিশ্চয় । হলে প্ৰভু পৃথ্বীপতি অবশ্য দেবীর হবে আনন্দ তখন, তবুও লজ্জায় আমি কিছুতে পারিতেছি না দেখাভে বদন ॥ অথবা কি করা যায়, আমি যেরূপ স্বামি-ভক্তি-ব্রত অবলম্বন করেছি, তাতে অত্যন্ত মাননীয় ব্যক্তির অনুরোধেও স্বামীর হিতসাধনে নিরস্ত থাকা যায় না । ( নিরীক্ষণ করিয়া) এই যে মহারাজ, এইবার তবে নিকটে যাই । (সম্মুখে আসিয়া ) মহারাজের জয় হোক! ( পদতলে পড়িয়া ) আমি একটা কাজ মহারাজকে না জানিয়েই করেছি, আমাকে ক্ষমা করুন । রাজা।—না জানিয়ে কি কাজ করেছ মন্ত্রি আমাকে বল ।
পাতা:রত্নাবলী নাটক.djvu/১০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।