পাতা:রত্নাবলী নাটক.djvu/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/o এখানে ফান্তন চৈত্র মাসে দোলোৎসব হইয়া থাকে, তখন সেইরূপ মদনোৎসব হইত। এবং এখনকার মত তখনও সেই সময়ে “আবীরখেলা” হইত। প্রভেদ এই, শ্ৰীকৃষ্ণের পূজা না হইয়; তখন মদনদেবের পূজা হইত। কোন সময় হইতে এদেশে মদনোৎসব রহিত হইয়া শ্ৰীকৃষ্ণের দোলোৎসব আরম্ভ হয়, ইহা একটি ঐতিহাসিক রহস্য । এই নাটিকার পাত্ৰগণের মধ্যে বৎসরাজ ও দেবী বাসবদত্তার চরিত্র অতি পরিস্ফুট ভাবে চিত্রিত হইয়াছে। একদিকে রাজা বিলাস-পরায়ণ, লঘুচিত্ত ও অন্যাসক্ত ; পক্ষান্তরে, রাণী একনিষ্ঠা ব্ৰতপরায়ণ ও পতিরতা । সৰ্ব্বাপেক্ষা দেবী বাসবদত্তার চিত্র অতি উৎকৃষ্ট বর্ণে চিত্রিত হইয়াছে। র্তাহার চরিত্রে বিরুদ্ধ গুণের সমাবেশ অতি নিপুণ ভাবে সম্পাদিত হইয়াছে। একদিকে যেমন তিনি তেজস্বিনী, অভিমানিনী, উদ্ধতা ; পক্ষান্তরে তেমনি আবার কোমলহৃদয়, স্থবৎসল ও উদারভাবাপন্ন। বিদূষক বসন্তকের চরিত্রেরও একটু বিশেষত্ব আছে—উহার “ভাড়ামি’র মধ্যেও একটু সহৃদয়তা প্রকাশ পায়। এই নাটকটি কবিত্ব-অংশে উচ্চদরের না হইলেও, নাট্যাংশে যে ইহা উৎকৃষ্ট তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। ইহার নাটকীয় সংস্থানগুলি ও ঘটনার পাক-চক্র কতকটা আধুনিক নাটকের ন্তায়—সেইজন্য, এখনকার রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হইবার পক্ষে সম্পূর্ণরূপে উপযোগী। ইহার ঘটনা-গুলি ঘোরো রকমের এবং ইহার পরিণতি-সাধনে কোন অলৌকিক শক্তির আশ্রয় গ্রহণ করা হয় নাই। পাত্রগণও সকলেই সাধারণ মনুষ্যের রক্ত মাংসে গঠিত। আশ্চৰ্য্য ঘটনার মধ্যে, কোন সন্ন্যাসী-দত্ত ঔষধীর দ্বারা নবমল্লিকা অকালে প্রস্ফুটিও করা হয়, এবং একজন